কলকাতা, ১০ নভেম্বর: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের (Cyclone Bulbul) দাপটে সুন্দরবনসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত বাংলাদেশে চলে গেছে বুলবুল। আজ সকালে পরিস্থিতি জানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পরে ফোন করার কথা মোদি টুইট করে জানান। পাশাপাশি টুইটে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে সবরকম সাহায্য (assistance) করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি টুইটে লেখেন, "বুলবুলের জন্য পূর্ব ভারতের কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি জানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি।" মোদি আরও লেখেন, "আমি প্রত্যেকের নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।"
বুলবুলের মোকিবিলায় রাজ্য সরকারের তৎপরতার প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরও (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার সকালে রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, "নৌসেনা, রাজ্য পুলিশ এবং উপকূল রক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি নজর রাখছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে আনতে নানা পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।" এ দিন রাজ্যপাল এনজিও গুলকে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। আরও পড়ুন: Cyclone Bulbul Updates: যতটা গর্জাল ততটা বর্ষাল না, শক্তি হারিয়ে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল; বিকেলের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি
Reviewed the situation in the wake of cyclone conditions and heavy rain in parts of Eastern India.
Spoke to WB CM @MamataOfficial regarding the situation arising due to Cyclone Bulbul. Assured all possible assistance from the Centre. I pray for everyone’s safety and well-being.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 10, 2019
গতকাল সারারাত নবান্নের (Nabanna) কন্ট্রোল রুম থেকে কড়া নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি বাাড়ি যান। যাওয়ার সময় বলে যান বড় বিপদ কেটে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রায় ১০--২০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে বুলবুল। পুরোটাই আমাদের সার্ভে করতে হবে ৷ আমাদের ড্রোন আছে৷ যে জায়গাগুলিতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে জায়গাগুলিতে রবিবার থেকে সার্ভে করা হবে এই ড্রোন ব্যবহার করে। রামনগর, খেজুরি এবং নন্দীগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বড় ধাক্কাটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আর ভয়ের কিছু নেই। যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে এবং চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। রাত পর্যন্ত ৩১৫টি সাইক্লোন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে ১.৬৪ লাখ মানুষকে। ২১৫টি রান্নাঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব দায়িত্ব সরকারের।"