Earthquake. (Photo Credits:X)

Myanmar Burma Earthquake:বিপর্যয়ের ৩২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু আর্তনাদ থামেনি। থামেনি কান্না। মৃতদেহের মিছিল আকার ক্রমশ বড় হচ্ছে। সাড়ে ১০ লক্ষ জনসংখ্যার গরীব দেশ মায়নামার এখন যেন ধ্বংসস্তুপ আর মরদেহের স্তুপ মিশে গিয়েছে। গতকাল, শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টায় ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ভয়াবহতা শুরুতে যতটা ধরা হচ্ছিল, তার চেয়েও অনেক বেশী ভয়ঙ্কর ফল দেখা যাচ্ছে। মায়নামারে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপ সরানোর আধুনিক যন্ত্রাংশ, পরিকাঠামোর অভাব চোখে পড়ছে। পুরনো ক্রেনের মাধ্যমে বেশীরভাগ জায়গাতেই চলছে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ। আর ধ্বংসস্তুপ থেকে বের হচ্ছে একের পর এক দেহ।

আসতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য

শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারী হিসেব অনুযায়ী মায়নামারে ভূমিকম্পে হতের সংখ্যা ১,৬০০ ছাড়িয়েছে। জখমের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি। জোড়া ভূমিকম্পের পর মায়নামারে অন্তত ৩ হাজার বাড়ি, কয়েকটি বহুতম, ব্রিজ, মসজিদ ভেঙে পড়েছে। এদিকে, ভারত থেকে চিন, ইজরায়েল থেকে গ্রেট ব্রিটেন- এশিয়ার অন্যতম গরীব দেশে আসতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য।

দেখুন ব্য়াঙ্ককের বহুতলের ছাদে এক স্যুইমিং পুলে ভূমিকম্পের ফলে কী হল

ধ্বংসস্তুপ থেকে ভাসছে 'বাঁচাও বাঁচাও' আর্তনাদ

মায়নামারে এক বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে ২৮ ঘণ্টার পর এক ৩০ বছরের মহিলাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভূমিকম্পের পর তাইল্যান্ডে একটি বহুতল ভেঙে পড়ার ৩০ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে মাঝেমাঝেই বাঁচাও বাঁচাও (হেল্প, হেল্প) আর্তনাদ ভেসে যাচ্ছে। তাই সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেছেন।