কলকাতা, ১২ ফেব্রুয়ারি: ১২৪ টি দেশ এবং আঞ্চলিক প্রদেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস (Coronavirus Impact)। যেকোনোও ব্যক্তি চিন, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, স্পেন ও জার্মানি থেকে এলে বা ১৫ ফেব্রুয়ারির পর সেখানে গিয়ে থাকলে ভারতে ঢোকার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্বজুড়ে ১,২৬,৩৮০ জন আক্রান্ত করোনাভাইরাসে। এহেন পরিস্থিতিতে করনাভাইরাসের আক্রমণের ভয়ে চিকেন থেকে মুখ ফিরিয়েছে দেশবাসী। ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে চিকেন ব্যবসায়ীরা। যদিও করোনা সংক্রমণের সঙ্গে মুরগির কোনও সম্পর্কই নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তা স্বত্ত্বেও ধুঁকছে পোলট্রি ব্যবসা। মুরগির বদলে চাহিদা বেড়েছে কাঠালের (Jackfruit Selling At A Higher Price)।
চিকেন-মাটন ছেড়ে নিরামিষে মজেছেন খাদ্যরসিকরা। কথাতেই আছে, এঁচোড় নাকি গাছপাঠা। কারণ একটু যদি রসিয়ে কষিয়ে রান্না করা যায়, তাহলে তা মাটনের থেকে স্বাদে কিছু কম হয়না। ১কেজি এঁচোড়ের দাম ছুঁয়েছে ১২০ টাকা। একদিকে এঁচোড়ের দাম আকাশছোঁয়া। অন্যদিকে, ক্রমশ কমছে মুরগির দাম। চাহিদা একেবারেই নেই। কিলোপ্রতি মুরগি বিকোচ্ছে ৮০ টাকা। কোথাও কোথাও আরও কম। একাধিক জায়গায় মেলার আয়োজন করে সাধারণ মানুষের মন থেকে এই ভয় দূর করারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, মুরগি কিংবা কোনও পাখি থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও আশঙ্কাই নেই। তবুও অজানা আতঙ্কে চিকেনের দোকানের আশপাশ দিয়েও যাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আরও পড়ুন: Mumbai: করোনা আতঙ্কের কোপ মুরগীর মাংসে, দাম কমল একধাক্কায় ২০ শতাংশ
সম্প্রতি জ্যান্ত মুরগির মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। প্রায় হাজার ছয়েক মুরগি মাটি চাপা দিয়ে মেরে ফেলেন এক পোলট্রি ব্যবসায়ী। ভেঙে ফেলেন কয়েক লক্ষ ডিম। সেটি ভাইরালও হয়ে যায়। তাঁর দাবি, বিক্রি না হওয়ার ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মুরগিপিছু ১০০ থেকে ১৩০ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে মুরগির মাংসের চাহিদা। মুরগি ব্যবসায়ীরা তো বটেই, সরকারের তরফেও চলছে ক্রমাগত প্রচার। তা স্বত্ত্বেও মানুষের মনের ভিতর ঢুকে থাকা এই অন্ধ ভয় কাটাতে ব্যর্থ হচ্ছে সব চেষ্টাই।