অসম, ৯ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব বিল ২০১৯-( Citizenship Amendment Bill 2019) এর বিরোধিতা করে গৌহাটি-সহ সমগ্র অসমের (Assam) বনধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সপ্তাহের শুরু দিনই খোলেনি কোনও দোকান পাট। বিভিন্ন সংগঠনই এই বনধে ডেকেছে। বিলে অমুসলিম পাকিস্তানি, বাংলাদেশি ও আপগানিস্তানিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় এই বিল পেশ করতে চলেছেন। ভোটের আগে জানুয়ারি মাসেই তারা লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পেশ করেছিল। কিন্তু লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেই বিল বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাই আবার নতুন করে এই বিল তারা আনছে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বিল অনুমোদন করে দিয়েছে।
এই বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পাস করার পরের দিনই অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দিলেন, কেন এই বিল ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে কেউই ধর্মরক্ষার তাগিদে দেশ ছাড়েননি। এই বিলের বিরোধিতায় অসমে রীতিমতো বনধ চলছে। থবে শুধু অসম নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই নাগরিকত্ব বিল ২০১৯ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়ছে জনমনে। ধর্মের ভইত্তিতে এই যে মেরুকরণ নাগরিকত্ব বিলের অঙ্গ, তাতে কেউই সমর্থন করছেন না। বেঙ্গালুরুতে, বিভিন্ন সমাজকর্মী থেকে শুরু রে সাধারণ মানুষ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, পড়ুয়ারা রবিবার পথে নেমে এই নাগরিকত্ব বিল ২০১৯-এর বিরোধিতা করেছেন। হায়দরাবাদেও এই বিলের বিপক্ষে মৌন মিছিল হয়েছে। আরও পড়ুন-Karnataka Bypoll Results 2019: ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২ টিতে পদ্ম শিবিরের ছায়া, উপনির্বাচনে জিতে ক্ষমতা দখলের পথে বিএস ইয়েদুরাপ্পা
Assam: Shops closed in Guwahati following shutdown call by various organisations opposing #CitizenshipAmendmentBill2019. pic.twitter.com/pEiienfDjd
— ANI (@ANI) December 9, 2019
এই বিলে বলা হয়েছে, হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, পার্সিরা যাঁরা বিভিন্ন সময় ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছেন। গত ২০১৪- সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এমন সমস্ত অভিবাসীদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ২০১৯-এ যে নাগরিকত্ব বিল পাস করা হবে, তা ২০১৪ ও ১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি দেশের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এবার সেই প্রতিশ্রুতি মেনেই বিল কার্যকর হতে চলেছে।