
হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। দুই রাষ্ট্রনায়কের বৈঠকে চলল তুমুল বাগবিতণ্ডা। আর সেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জেরে ট্রাম্প এবং জেলেনেস্কির সাংবাদিক বৈঠক বাতিল হয়ে গেল। স্বাক্ষর হল না খনিজ চুক্তিতে। শুধু তাই নয়, বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তাঁকে অপমান করেছেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ (Ukraine and Russia War) লাগার পর থেকে জেলেনেস্কিকে নিজের সমর্থন জানিয়েছিল ওয়াশিংটন ডিসি। তবে সেই সময়ে আমেরিকার রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির জো বাইডেন। বাইডেনের সমর্থন পেলেও আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পাশে পাননি তিনি। ২০২৫ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বদলে যায় আমেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্কের সমীকরণ। ট্রাম্প ইউক্রেনের বদলে রাশিয়ার (Russia) দিকে ঝোঁকেন।
এদিনের বৈঠকে জেলেনেস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) নিশানা করে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনকে শান্তি চুক্তি করতেই হবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলতে পারেন না ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। তিনি চুক্তিবদ্ধ না হলে তার পাশে থাকবে না আমেরিকা, স্পষ্ট সে কথা জানালেন ট্রাম্প। রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে ইউক্রেনকে (Ukraine)।
এদিকে নিজের দাবিতে অনড় রইলেন জেলেনেস্কিও। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) নাম করেই বললেন, শত্রুর সঙ্গে কোনরকম সমঝোতা করতে তিনি রাজি নন। দুই পক্ষের কথা কাটাকাটিতে শেষ পর্যন্ত কোন কিছুই রফা হল না। উলটে বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন জেলেনেস্কি। এবং দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাংবাদিক বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।