বিএস ইয়েদুরাপ্পা (Photo Credit: IANS)

বেঙ্গালুরু, ৯ ডিসেম্বর: কর্ণাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার (BS Yediyurappa) ভাগ্যাকাশে বিপর্যয়ের শেষ নেই। ক্ষমতার শীর্ষে বসেও বারেবারে তাঁকে অগ্নিপরীক্ষার মুখেপড়তে হচ্ছেষ নিন্দুকরা যাই বলুক না কেন, ফের ভোটের ময়দানে ভাগ্য পরীক্ষা করাতে এসে দ্বিধা দ্বন্দ্বে টালমাটাল ইয়েদুরাপ্পা সরকার। কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে জেডিএস। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচডি কুমারস্বামী। তাঁর শপথে বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখা যায় কর্ণাটকে। যদিও কুমারস্বামীর শপথের আগে সেখানেও তড়িঘড়ি সরকার গড়ে ফেলেছিল বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী হন ইয়েদুরাপ্পা। যাইহোক ফের তাঁকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ভোটে যেতে হয়েছে। গত পাঁচ তারিখে হয়েছে ভোট। আজ সেই ১৫টি কেন্দ্রের ফল (Karnataka Bypoll Results) বেরোবে।

জানা গিয়েছে, গণনা শুরু হতেই একটা জিনিস স্পষ্ট যে বিজেপি বেশ প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়েই রয়েছে। ১০টা কেন্দ্রে গণনার নিরিখে পদ্মশিবির স্বস্তির জায়গায়। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই। দিনের শেষ পর্য্ন্ত যদি অন্তত পাঁচটা কেন্দ্রে বিজেপি তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে তাহলেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনটি ইয়েদুরাপ্পা সরকারের জন্যা পাকা থাকবে। রানেবেন্নুর, বিজয়নগর, চিক্কাবাল্লাপুর, কেআর পুরা, আথানি, কাগওয়ার, গোকাক, ইয়ালাপুর, হিরেকেরুর, মহালক্ষ্মী লেআউট এই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি ইতিমধ্যেই চালকের আসনে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে শিবাজি নগর ও হানসুর কেন্দ্রে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। আরও  পড়ুন-Citizenship Amendment Bill: লোকসভায় আজ পেশ হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, তীব্র ক্ষোভ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে

উল্লেখ্য, গত জুলাইতে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ১৭ জন বিধায়কের সদস্য একসঙ্গে ইস্তফা দিলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। তার ফলে পতন ঘটে এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের। ক্ষমতায় আসে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার। ওই ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি উপনির্বাচন হয়। বাকি দুটি আসনে ভোট হয়নি। তবে দলত্যাগ বিরোধী আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় ওই ১৫ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তাতেও বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিতে যান ইয়েদুরাপ্পা। আদালতের রায়ে বরখাস্ত হওয়া বিধায়করা উপনির্বাচনে লড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিধায়করা অনেকেই একার শক্তিতে জেতার ক্ষমতা রাখেন। এদিকে ভোট শুরু হতে হতেই বিজেপির এগিয়ে থাকার খবরে কংগ্রেস শিবির প্রমাদ গুনছে।