
নতুন দিল্লি, ৯ মার্চ: নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে উপত্যকার শক্তিবৃদ্ধি করতে হবে। তাই কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া (delimitation exercise) শেষ করবে। এর ফলে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসবে জম্মু। দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে চলেছে কাশ্মীর। এর প্রধান কারণ, নয়া যুগ শুরু হলে বেশি সংখ্যক বিধায়ক নির্বাচিত হবেন জম্মু অঞ্চল থেকেই। জানা গিয়েচে জম্মু ও কাশ্মীরের রি-অর্গানাইজেশন আইন অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় বাড়তি ৭টি আসন যোগ হবে। আগে সেই সংখ্যা ছিল ৮৫। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ২৪টি আসন অপরিবর্তিত থাকবে বলেই জানানো গিয়েছে সরকারি সূত্রে। এই মুহূর্তে কাশ্মীর থেকে ৪৬টি আসন এবং জম্মু থেকে ৩৭টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে দুটি আসন রয়েছে মনোননীত প্রার্থীদের জন্যে বরাদ্দ।
জম্মু-কাশ্মীর রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্ট ২০১৯-এর ভিত্তিতে শুক্রবার ডিলিমিটেশন কমিশনের প্রধান প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি রঞ্জনা দেশাই নির্দেশ দিয়েছেন নতুন করে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রে চিহ্নিত করতে। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের জন্যে বরাদ্দ ৩৭০ ধারা খারিজ হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীর ভাগ হয়েছে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। নতুন নিয়মে জম্মুতে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্যে বরাদ্দ আসনের সংখ্যাও বাড়বে। এনি নির্বাচন কমিশন ডিলিমিটেশন সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রকাশ করবে সরকারি গ্যাজেটে। সেখানে মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকেও। সবদিক এবং মতামত বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন। আরও পড়ুন- Delhi: দিল্লিতে আত্মঘাতী হামলার ছক কষা কাশ্মীরি দম্পতিকে গ্রেফতার দিল্লি পুলিশের, সন্দেহ আইসিস যোগের
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব হয়েছে। সংবিধানের ৩৫-এর এ ও ৩৭০ ধারাও বিলোপ হয়েছে। নতুন বছরে কেন্দ্র শাসিত অঞ্ল হিসেবে পথ চলা শুরু করেছে জম্মু ও কাশ্মীর। সামনেই সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই রি-ওর্গানাইজেশন অ্যাক্ট ২০১৯-এর ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন হতে চলেছে।