জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Photo Credit: IANS)

চেন্নাই, ২৩ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরে কোনও কমিউনিকেশন ব্লকেড হয়নি, কোনও ব্ল্যাকআউট ছিল না। কাশ্মীরিরা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে সংযোগ রাখতে পেরেছেন। শুধু জঙ্গিরা তাদের দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। সেই যোগাযোগের পথ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এই কাজটিই করা হয়েছিল যাতে পাকিস্তান এই সুযোগে উপত্যকার মানুষকে ভুল বোঝাতে না পারে। কোনও অশান্তি বা প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। কাশ্মীরে কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট প্রসঙ্গে মুখ খুলে একথাই বললেন বিদায়ী সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Army chief General Bipin Rawat)। একই সঙ্গে এই কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউটের ফলে ঠিক কি কি সুবিধা হয়েছে তাও বুঝিয়ে দেন তিনি।

চেন্নাইতে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিবেশী পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, “এবার অন্তত ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি লেলিয়ে দেওয়াটা বন্ধ হোক। বার বার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান, মূল আমাদের এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সুযোগ নেওয়ার জন্যই এমনটা ঘটানো হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বায়ু সেনা বালাকোটের জইশ জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানোর কিছুদিন পরেই সেসব এলাকা সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যায়। ফের সেখানে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি হয়েছে। আর ভারতে হামলা চালানোর জন্য সেখানে ৫০০ জঙ্গি প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই সীমান্ত টপকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাতে কোনওরকম সুযোগ ছাড়ভে না এই জঙ্গিরা, সতর্ক করলেন সেনা প্রধান।” আরও পড়ুন-খারাপ কিছু করার আগে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নয়ে ভাবা উচিত ইসলামাবাদের: রাজনাথ সিং

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেও পাক জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে গুজরাত উপকূল হয়ে বহু পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সেইসময় জানানো হয়। সতর্কতা জারি হয় গুজরাত-সহ দক্ষিণের একাধিক রাজ্যে। আর তার পরেই বালাকোটে জঙ্গি সক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন সেনাপ্রধান। এতে নতুন করে বিপাকে পড়তে পারে পাকিস্তান। এখন পাকিস্তানকে জবাব দিতে সম্পূর্ণভাবে তৈরি ভারতীয় সেনা এমনকী, অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) দখলে ঝাঁপাতে তৎপর তা জানতেও ভোলেননি সেনা প্রধান।