দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর: ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে সাম্প্রতিক কালে কেন্দ্রের গৃহীত তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। পর পর ৬ বার কৃষক নেতারা কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। ভারত বনধের পর এবার দিনভর অনশনে (day-long hunger strike) বসলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। আজ সোমবার সারাদিন অভুক্ত থেকে আন্দোলন চলবে। সকালে আটটাতে শুরু হয়েছে ভুখা হরতাল, চলবে বিলেক পাঁচটা পর্যন্ত। গত সেপ্টেম্বরে লাগু হওয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা নিয়ে এখনও ইতিবাচক নয় কেন্দ্র। তাই দিনের পর দিন আন্দোলনের অভিমুখকে আরও সক্রিয় করে চলেছে কৃষকরা। আরও পড়ুন-Arvind Kejriwal House: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দিল বিজেপি নেতৃত্ব, ব্যাপারটা কী?

কৃষক আন্দোলনের সর্বশেষ তথ্য:

  • জানা গিয়েছে কেন্দ্রের গৃহীত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে যে সিঙ্ঘু বর্ডার রয়েছে সেখানেই হচ্ছে আজকের অনশন ধর্মঘট। ভুখা হরতালে বসেছেন কৃষকরা। দিল্লি ও হরিয়ানার মধ্যে এটাই সবথেকে বড়আন্দোলন ক্ষেত্র।
  • এই ভুখা হরতাল প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা হরিন্দর সিং লাখোয়াল বলেন, “আমরা সরকারকে জাগাতে চাই।”
  • আন্দোলনরত কৃষকরা নেতাদের সঙ্গে দিনভর ভুখা হরতালের জন্য প্রস্তুত। এই প্রসঙ্গে লখিমপুর খেরির এক কৃষক বলেন, “যখন আমরা আমাদের আখের ট্রলিগুলিকে কারখানায় নিয়ে যাই তখন এমন দিনও আসে যে ২৪ ঘণ্টা পেটে দানা পানি পড়ে না।”
  • কৃষকদের অনশন ধর্মঘটের খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের উপস্থিতিতে রবিবার পাঞ্জাবের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
  • অমিত শাহ বাড়িতে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। মূলত বৈঠকে পাঞ্জাবের বর্তমান পরিস্থিতি ও কৃষকদের আন্দোলন প্রতিহতকরতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, তানিয়েই আলোচনা হয়।
  • গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কেন্দ্রের দরজা সবসময় খোলাই রয়েছে।
  • পাঁচ পাঁচটি বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। কেননা দুই পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্তে রয়েছে অনড়।