জাওয়া বাইক( Photo Credit: Twitter)

বাইকের ভারতীয় বাজার সব সময়ই যেন উত্তেজনায় ফুটছে, নতুনকে বরণ করে নিতে কোনওরকম দ্বিধাবোধ নেই। তবে ভাল লাগলে একান্ত প্রিয় পুরনো বাইকটিকে বুকে আঁকড়ে রাখতেও কার্পণ্য করেন না ভারতীয় বাইকাররা। তাইতো ফের আলোচনার কেন্দ্রে জাওয়া ও জাওয়া-৪২। ৩০০ সিসি-র দুর্দান্ত গতি সম্পন্ন জাওয়া বাইক ফিরে আসায় বাজারে হইহই পড়ে গিয়েছে। ২০১৮র নভেম্বরে ভারতের বাজারে লঞ্চ করেই সাড়া ফেলে দিয়েছিল জাওয়া এবং জাওয়া-৪২। এই বাইক দুটির অ্যাক্সেসরিজ এতদিন ভারতের বাজারে মিলত না। তবে বাইকারদের ভালবাসা দেখে প্রস্তুতকারক সংস্থাই এই সুবিধা করে দিল। আরও পড়ুন-মিনি কম্পিউটার-এলইডি প্রজেক্টর নিয়ে ভারতের বাজারে হাজির বিএমডব্লিউ-র সুপার বাইক

এমনিতে জাওয়াও জাওয়া-৪২-র (Jawa Motorcycles) বাজার মূল্য এক লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা এবং এক লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। বাইকারদের পছন্দের হলেও জাওয়া বাইকের বিভিন্ন অ্যাক্সেসরিজ এতদিন বাজারে পাওয়া যেত না। এ বার ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে জাওয়া-র সমস্ত অ্যাক্সেসরিজ (accessories) পাওয়া যাবে। অ্যাক্সেসরিজের তালিকাটা একবার দেখে নেওয়া যাক- ক্লাসিক গ্র্যাব রেল: ৭৪৯ টাকা, ক্রোম ক্র্যাশ গার্ডস: ১ হাজার ৫৯৯ টাকা, ম্যাট ব্ল্যাক ক্র্যাশ গার্ডস: ১ হাজার ৪৯৯ টাকা, হ্যামারহেড ম্যাট সিট স্পয়লার: ৯৯৯ টাকা, হ্যামারহেড ব্যাকরেস্ট-লাগেজ র‍্যাক: ৯৯৯ টাকা, হ্যামারহেড গ্র্যাব রেল: ৩৯৯ টাকা, হ্যামারহেড লাগেজ র‍্যাক: ৫৯৯ টাকা, বার অ্যান্ড মিররস্‌: ১ হাজার ৪৯৯ টাকা, ভাইজারওয়ালা হেলমেট(করোনা/হেলো): ২ হাজার ৩৪৯ টাকা, রাইনক্স দিয়ে ডিজাইন করা রাইডিং জ্যাকেট: ৭ হাজার ৪৯৯ টাকা, রাইডিং গ্লাভস্‌: ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, জাওয়া প্রিন্টেড টি-শার্ট: ৮৯৯ টাকা,

জাওয়া বাইকের ইতিহাস জানতে হলে বেশ খানিকটা পিছিয়ে যেতে হবে। পুরনো বাইকারদের স্মৃতিতে জাওয়া সবসময় অমলিন, নতুন বাইকাররাও যে একই ভাবে জাওয়াকে বরণ করে নেবে তা ভাবাই যায়নি। ১৯৯৬ সালে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল জাওয়া। তার ২২ বছর পর ২০১৬-য় ফের বাজারে আসে জাওয়া, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা-র হাত ধরে। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তারাই জাওয়া বাইক তৈরি ও বিক্রি করবে। এই বাইকটিতে রয়েছে রাউন্ড ইন্ডিকেটর, রাউন্ড মিররস্‌, টেলিস্কোপিক ফর্ক, বিএস-৬ রেডি ইঞ্জিন, রাউন্ডেড হেডলাইট, কার্ভ ট্যাঙ্ক, স্পোক হুইলস, ফ্ল্যাট সিট। জাওয়া বাইক পাওয়া যায় নেবুলা ব্লু, লুমাস লাইম এবং মেরুন রঙে। পুণের আর অ্যান্ড ডি সেন্টার, ইতালির ভারেসের টেকনিক্যাল সেন্টারের সহায়তায় ২৭ হর্সপাওয়ার ও ২৮ এনএম পিক টর্ক নিয়ে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স ফিচারযুক্ত এই বাইকটি বাজারে ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে।