![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2023/03/55-3-380x214.jpg)
ধর্মশালা, ৮ মার্চ: ১০ই মার্চ তিব্বতের জাতীয় অভ্যুত্থানের বার্ষিকীর স্পর্শকাতর সময়ে যে কোন সম্ভাব্য ঘটনাকে এড়ানোর আপাত প্রচেষ্টা হিসেবে আগামী ৮ থেকে ১০ মার্চ তীর্থযাত্রীদের জন্য লাসার জোখাং মন্দির বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তিব্বতী বৌদ্ধদের জন্য জোখাংকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে মনে করা হয় এবং এটি তিব্বতের রাজধানী লাসার কেন্দ্রে অবস্থিত। অনেক তিব্বতী প্রতিদিন এটি পরিদর্শন করেন। জোখাং মন্দিরটি অতীতে চীনা অপশাসনের বিরুদ্ধে তিব্বতীদের বিক্ষোভের স্থান ছিল। মন্দিরের সামনে তিব্বতীদের আত্মহননের ঘটনাও ঘটেছে।
সূত্রের খবর অনুসারে, ৬ মার্চ জোখাং ম্যানেজমেন্ট কমিটির একটি বিজ্ঞপ্তি লাসার পাবলিক প্লেসে পেস্ট করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে মন্দিরে কোনও সাধারণের প্রবেশ থাকবে না, কারণ এটি "পরিষ্কার" করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১১ মার্চ থেকে যথারীতি খোলা থাকবে মন্দির। অন্যদিকে চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, লাসা ট্রাফিক পুলিশ গত ২ মার্চ থেকে শহরের কিছু রাস্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, ৬ মার্চ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
তবে এ বছর তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বিদেশিদের জন্য সাধারণ লকডাউন ছাড়া, কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত কোনও নোটিশ জারি করেনি। অতীতে স্পর্শকাতর সময়ের আশপাশে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিদেশিদের জন্য এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকত। এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, চীন অধিকৃত তিব্বতের প্রায় অর্ধেক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বিদেশি পর্যটনের জন্য পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লাসা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ব্যুরোর এক পোস্টে ৪ মার্চ চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্ভাব্য দর্শনার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাতে তারা জানতে পারে যে তারা ট্রেনে বা বিমানে তিব্বতে কিভাবে আসতে চায়।