Russia-Ukraine War (Photo Credit: Twitter)

মস্কো, ১৭ জুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রবল হল পরমাণু হামলার আশঙ্কা। ইউক্রেন সীমান্তের ঠিক পাশে সহযোগী দেশ বেলারুশে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পাঠাল রাশিয়া। বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র থাকলেও, অবশ্য এর সব নিয়ন্ত্রণই থাকছে রাশিয়ার হাতে। তার মানে এবার মস্কোর এক রিমোটের বোতামেই নিমেষে ধ্বংস হয়ে যাবে ইউক্রেন। জাপানের হিরোসিমা, নাগাসাকির মত ইউক্রেনের কিভ, বাখমুতের মত শহরও পরমাণু বোমায় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল।

চলতি গ্রীষ্মের মধ্যে এবার একে একে তাদের সব পরমাণু অস্ত্র বেলারুশে পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করে পুতিন প্রশাসন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সব রকম সাহায্য করছে বেলারুশ। বেলারুশ হল ইউক্রেনের একেবারে পাশের দেশ। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ উচ্চপদস্থ এক সেনা জানিয়েছেন, ভগবান না করুন রাশিয়াকে পরমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে হোক। কিন্তু আমাদের ওপর আক্রমণ হলে বেলারুশের মোতায়েন করা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য হতে হবে আমাদের। আরও পড়়ুন-করোনায় মৃত্যু লুকোতেই কি দেশে শেষকৃত্যের তথ্য প্রকাশ করল না চিন!

দেখুন ভিডিয়ো

রাশিয়ান আক্রমণের পর ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করে দিয়েছে আমেরিকা। ইউক্রেনকে যুদ্ধে সমস্তরকম অস্ত্র সাহায্য করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক মাস আগে রাশিয়ার বেশ কিছু জায়গায় হামলাও হয়। মস্কোতে মিসাইল হানার খবরও আসে। এরপরই আমেরিকার ওপর চাপ তৈরি করতে যুদ্ধের রণকৌশলে বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র পাঠাল রাশিয়া। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের থেকেও আমেরিকা-ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই রাশিয়ার এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে, পারমাণবিক অস্ত্র উঁচিয়ে ইউক্রেনকে মানসিক চাপে রাখা, অন্যদিকে মিসাইল হানা চালিয়ে পুরোপুরি তাদের দখলে নেওয়া এই কৌশলই নিয়েছেন পুতিন।