Russian Government Resigns: রাশিয়ায় সংবিধানের সংস্কার জরুরি, পুতিনের ইচ্ছায় গোটা মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করল
ভ্লাদিমির পুতিন ও দিমিত্রি মেদভেদেভ(Photo Credits: Getty Images)

মস্কো, ১৬ জানুয়ারি: রাশিয়ায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। কেননা সংবিধানের সংস্কার চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এনিয়ে রীতিমতো প্রস্তাবনাও পেশ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য শেষ হতে না হতেই মস্কো সরকারের সমস্ত মন্ত্রীরাই পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন (Russian Government Resigns)। এই পদত্যাগের অর্থ দিমিত্রি মেদভেদেভেরও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রসঙ্গ। তবে তিনিও ইস্তফা দিতে দেরি করলেন না। এককথায়  প্রস্তাবনা পেশ করার পরেই পদত্যাগ করল গোটা সরকার। রাশিয়ার সরকারের এই অবাক করা ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। এদিকে পদত্যাগ গ্রহণের পর পুতিন এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, গত কয়েক বছর রাশিয়ান নাগরিকদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে মন্ত্রীসভা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

পুতিনের এই প্রস্তাব শোনার পরেই ইস্তফা দেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্র মেদভেদেভ। তারপরে তাঁর সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করার পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্টের এই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে করা হচ্ছে। নিজের ইচ্ছেমতো সংস্কার নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তিনি। অবশ্য যদি এই প্রস্তাব সুশাসনের লক্ষ্যে হয় তাহলে তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া উচিত।” সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অবশ্য বর্তমান সরকারকেই সব কাজ করতে হবে। তবে ২০১২ সাল থেকে পুতিন ও দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ান রাজনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন সরকার গঠন হলেসেখানে মেদভেদেভ যে বড়সড় ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন তা বলাই বাহুল্য। আরও পড়ুন-Iran: মিসাইল হানায় ভেঙে পড়ছে ইউক্রেনের বিমান, ভিডিও পোস্ট করে গ্রেপ্তার যুবক

উল্লেখ্য, বুধবার পার্লামেন্টে বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন নিজের ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, পার্লামেন্টের শক্তি বৃদ্ধির জন্য সংবিধানে সংস্কার প্রয়োজন। এই সংস্কারের জন্য একটি গণভোটের প্রস্তাবও দেন তিনি। পুতিন বলেন, “আমার মনে হয় রাশিয়ার সংবিধানে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন। তবে এই সংস্কার হবে কি হবে না, সেই সংক্রান্ত প্রস্তাবনা গণভোটের দাবি রাখে।” জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে রাশিয়াকে বিশ্বের দরবারে আরও শক্তিশালী করতেই এই পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন বলে জানান পুতিন।