রাশিয়ার সঙ্কট আরও গভীর হল। বিদ্রোহীরা ক্রমশ দখল নিচ্ছে মস্কোর। দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী 'ওয়াগনর গ্রুপ'-র সরাসরি যুদ্ধে কোণঠাসা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের প্রধান সেনা কার্যালয় এখন বিদ্রোহী ওয়াগনার গ্রুপের দখলে। মস্কোর রাস্তায় এখন বিদ্রোহীদের ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ির দাপট। ক্রেমলিনে বসে পুতিনের ঘোষণা, দেশের সেনাবিহানীর বিরুদ্ধে যারা লড়ছে তারা সবাই বিশ্বাসঘাতক। পুতিন স্বীকার করে নিলেন, রাশিয়া বিশেষ করে রুস্তোভের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বিশ্বাসঘাতক ওয়াগনার বিদ্রোহীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। পাল্টা ওয়াগনার গ্রুপের ঘোষণা, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিন ভুল লোক। দ্রুত তাঁকে সরিয়ে নতুন কাউকে রশ প্রেসিডেন্ট পদে বসানো হবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ওয়াগনার বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত তিনটি রুশ কপ্টার ধ্বংস হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে সংঘর্ষের খবর। দেশের সমস্ত সরকারী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ মানুষদের ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হয়েছে।
মস্কো স্থানীয় সকাল ৯টায় তড়িঘড়ি পুতিনকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে হয়েছে। সরকারী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হচ্ছে দেশের মধ্যে বিদ্রোহ নিয়ে বিশেষ বুলেটিন। রাশিয়ায় এমন ধরনের সেনা বিদ্রোহ সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন বলা চলে। ক্ষমতায় আসার পর পুতিন এত বড় ধরনের চ্য়ালেঞ্জ মুখোমুখি করেননি বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহীরা আরও শক্তিশালী হলে পুতিনকে সরতেও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন দেশবাসীর উদ্দেশ্য কী বললেন পুতিন, ভিডিয়ো
WATCH: Putin's address to the nation, with English subtitles pic.twitter.com/KKZy2XQhK3
— BNO News (@BNONews) June 24, 2023
দেখুন টুইট
Wagner-linked Telegram group says Putin made the wrong choice: "So much worse for him. Soon we'll have a new president"
— BNO News (@BNONews) June 24, 2023
দেখুন ভিডিয়ো
All I’m seeing are posts claiming that Wagner, which is 50,000 troops, has turned on Putin.
The true picture is unclear right now.
I will endeavour to fully investigate. #Moscow #Prigozhin #Russia #Wagner pic.twitter.com/DjVQnp24fK
— Paul Golding (@GoldingBF) June 24, 2023
ক দিন আগেই ইউক্রেনকে চাপে রাখতে পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুশে পাঠান পুতিন। কিন্তু এখন তিনি দেশের মধ্য়ে সেনা বিদ্রোহে একেবারে কোণঠাসা। এই সুযোগটা ইউক্রেন কেমনভাবে কাজে লাগায় সেটাই দেখার।