সিডনি, ১৪ জানুয়ারি: অতিরিক্ত জল ও খাদ্য নিঃশেষ করার কারণে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) দক্ষিণাঞ্চলে ৫ দিনে ৫ হাজারেরও বেশি উটকে (Camels) গুলি করে মেরে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। প্রশিক্ষিত স্নাইপার দিয়ে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মারা হয়েছে উঠগুলিকে। আদিবাসীদেরকে বাঁচাতে উটগুলিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় ২,৩০০ জন আদিবাসীর বাস রয়েছে। উট হত্যার করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই এলাকা প্রচণ্ড খরাপ্রবণ। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য ও জলের সংকট থাকে। আর এবার পুরো অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ব্যাপক দাবানলের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় উটগুলি প্রচুর পরিমাণে জল পান করায় সেই সংকট আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে।
জলের খোঁজে বিশাল এলাকাজুড়ে এসব উট বিচরণ করায় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি মিথেন গ্যাস সৃষ্টির জন্যও এসব উট দায়ী। আদিবাসী এলাকার (এওয়াইপি) নির্বাহী বোর্ডের সদস্য মারিতা বেকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমরা যে অঞ্চলে থাকি সেখানে খুব গরম পড়ে। খুবই অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে আছি। এর মধ্যে উটগুলির উৎপাত আমাদের বিষিয়ে তুলেছে। তারা জলের জন্য ঘর-বাড়িতে হানা দিচ্ছে, বেড়া ভেঙে দিচ্ছে। ক্ষেত মাড়িয়ে এসে ফসলের ক্ষতি করছে। আরও পড়ুন: Snowfall and Flash Flood in Pakistan: প্রবল তুষারপাত, বৃষ্টি, অকাল বন্যায় পাকিস্তানে মৃত ৩০
দেশটির জাতীয় বন্য উট ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের দাবি, এই উটদের সংখ্যা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে প্রতি নয় বছরে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্যও উট দায়ী। কার্বনডাই অক্সাইড নিয়ন্ত্রণে কাজ করা কার্বন ফার্মিং স্পেশালিস্টস রিজেনকোর প্রধান নির্বাহী টিম মুরে বলেন, এক মিলিয়ন উট প্রতিবছর এক টনের সমপরিমাণ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। অর্থাৎ, ৪ লাখ গাড়ি থেকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, সেই পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড সৃষ্টির জন্য দায়ী উট।