কোয়েটা, ১৪ জানুয়ারি: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলছে পাকিস্তানে (Pakistan)। তীব্র শীত, ভারী তুষারপাত, বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে বন্যা। সবকিছু মিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৩০ জনের। রাস্তায় চাই হয়ে জমে থাকা বরফ (Snow) সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক ছন্দ ফেরানোর জন্য। গতকাল সোমবার বালুচিস্তানের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তা এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তের মৃতের সংখ্যা ১৪। যার প্রধান কারণ প্রবল তুষারপাতে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়া।
এদিকে জানা গিয়েছে পঞ্জাব প্রদেশ অবিরাম বৃষ্টিতে (Rain) মারা গিয়েছেন ১১ জন। তার মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (Kashmir) ৫ জন মানুষ রয়েছেন। ভারী তুষারপাতে রাস্তায় যান চলাচল ব্যহত হয়ে গিয়েছে। এদিকে, কোয়েটা-চমন সড়ক হয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সংযোগকারী রাস্তা খোজাক-পাসেও ভারী তুষারপাতের কারণে বন্ধ। ফলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশের বানিজ্য ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, একই পরিস্থিতি আফগানিস্থানেও। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশেই বেশ কিছু অংশে অকাল বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। আফগানিস্তানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বালুচিস্তানে। আফগানিস্তানে মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুদের সংখ্যা ১৮। দুর্যোগের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে আফগানিস্তানের হাইওয়েও। কাবুলের অধিবাসীরা জানিয়েছেন, সেখানকার তাপমাত্রা -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে। যার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঝুঁকি নিয়েই কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে মানুষকে। আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হওয়ার কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটিরও কাজে সমস্যা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Satya Nadella on CAA: 'কোনও বাংলাদেশীকে ইনফোসিসের পরবর্তী সিইও হতে দেখলে আমি খুশি হব', সিএএ বিরোধিতায় মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেল্লা
ভারী তুষারপাতের কারণে রাস্তায় প্রায় ছ'ইঞ্চি পুরু বরফের স্তর জমেছে। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ঠ বন্যায় কিছু এলাকায় বাড়ির (House) অনেক অংশ ডুবে আছে। কান্দাহারে (Kandahar) আটজন, হেরাতে সাতজন ও হেলমান্দ প্রদেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।