
Match Fixing in IPL: আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025) শুরু হওয়ার এক মাসও হয়নি। তাঁরই মধ্যে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মেঘ জমেছে ভারতের প্রিমিয়াম ক্রিকেট লিগে। সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা টিম ম্যানেজমেন্টকে হায়দরাবাদের একজন ব্যবসায়ীর থেকে দূরে রাখতে বলেছে বলে জানা গেছে। ক্রিকবাজের মতে, বিসিসিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই ব্যবসায়ী কেবল খেলোয়াড়দেরই নয়, ধারাভাষ্যকার এবং মালিকদেরও ফাঁদে ফেলতে এবং তাদের দুর্নীতিতে জড়াতে চাইছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে এই ব্যক্তির জুয়াড়িদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এবং তার সন্দেহজনক অতীত রয়েছে। বিসিসিআই কর্তাদের নজরে এসেছে, টিম ম্যানেজমেন্ট, স্টাফ ও খেলোয়াড়দের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টায় হোটেল ও ম্যাচ ভেন্যুতে দেখা গিয়েছে এই ব্যবসায়ীকে। সন্দেহ করা হচ্ছে যে তিনি ফ্যান হিসাবে পাস ব্যবহার করে তার টার্গেট করা লোকজনদের কাছাকাছি যেতে চান। Bat Checking Rule in IPL: আইপিএলে আম্পায়াররা কেন খেলোয়াড়দের ব্যাটের মাপ পরীক্ষা করছেন? গেজ টেস্ট দিলেন কোন কোন ক্রিকেটার
তারপরে তাদের কাছে যাওয়ার জন্য উপহার বা অনুগ্রহ দিয়ে লোভ দিতে শুরু করেন। সেই কারণে বিসিসিআই স্টেকহোল্ডারদের তার সাথে কোনও সন্দেহজনক কথাবার্তা দেখলে রিপোর্ট করতে বলেছে। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীর পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও, এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর ক্রিকেট মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা নাম। পরিচয় নিয়ে কৌতূহল বাড়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করতে দেখা গেলে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না। বিসিসিআইয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি কয়েক বছর আগে আইপিএলকে কাঁপিয়ে দেওয়া ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিং ও বেটিংয়ের অভিযোগে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) তিন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। পরে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটি দুই দলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পাওয়ায় রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসকেও (Chennai Super Kings) দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।