Sukanta Majumdar (Photo Credit: ANI/X)

কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: বিএসএফ (BSF) না এলে তাঁরা বাঁচতে পারতেন না। ভবানী ভবনের সামনে হাজির হয়ে বুধবার এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) বেশ কয়েকজন আক্রান্তকে। মুর্শিদাবাদে আক্রান্তদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার রাজ্য পুলিশের প্রধান দফতর ভবনী ভবনে হাজির হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মুর্শিদাবাদে নির্যাতিতদের সঙ্গে নিয়ে ভবানী ভবনে হাজির হন বিজেপি নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে, সেখানে যাঁরা নির্যাতিত হন, তাঁদের নিয়ে ডিজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাজির হন সুকান্ত মজুমদার। গত শনিবার মুর্শিদাবাদে কী হয়েছিল, সে বিষয়ে নির্যাতিত মানুষ যাতে পুলিশের পদস্থ আধিকারিককে জানাতে পারেন সবটা, তার জন্যই ভবানী ভবনে সুকান্ত মজুমদাররা (Sukanta Majumdar) হাজির হন।

এদিকে মুর্শিদাবাদে ক্রমশ শান্তি ফিরছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের এডিজি (West Bengal Police)। গত সোমবার মুর্শিদাবাদ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এডিজি জাভেদ শামিম। সেখানেই তিনি জানান, মুর্শিদাবাদে শান্তি ফিরছে। ঘরছাড়া মানুষজন আবার নিজেদের বাড়ি ফিরছেন। খুলছে দোকানপাটও। পুলিশ টানা টহলদারি শুরু করেছে মুর্শিদাবাদে। উপদ্রুত এলাকায় যাতে নতুন করে কোনও ধরনের অশান্তি না ছড়ায়, পুলিশের নজর সেদিকে রয়েছে বলেও জানান জাভেদ শামিম।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'ওয়াকফ বোর্ডে অনেক হিন্দুও রয়েছেন', মুখ্যমন্ত্রী বললেন শান্তির কথা, 'সর্ব ধর্ম সম্মন্বয়ের কথা'

ফলে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, সুতী-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে অশান্তি না ছড়ালেও তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যা রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের একাধিক প্রান্তে পৌঁছেছে। ফলে মুর্শিদাবাদ নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুর্শিদাবাদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন বলে প্রশ্ন তোলেন যোগী। এমনকী যাঁরা শান্তির কথা শোনেন না, তাঁদের উপর 'বল প্রয়োগই' প্রধান রাস্তা বলেও যোগীকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।

যা নিয়ে বুধবার পালটা তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আগে নিজের রাজ্য সামলান বলে স্পষ্ট জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।