
আমেরিকা-চিন বাণিজ্য যুদ্ধে নয়া মোড়। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে শুল্কনীতিতে পরিবর্তন এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গেই তাল মিলছিল না। সবথেকে বেশি সংঘাতে জড়িয়ে ছিল বেজিং। আমেরিকা-চিনের এই ঘাত-প্রতিঘাত কোনদিকে মোড় নেয় সকলের নজর ছিল সেদিকে। আজ সকালেই হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়ে দিয়েছিল বেজিংয়ের হাবভাব দেখে ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন আজ বুধবার অর্থাৎ ৯ এপ্রিল থেকেই আমেরিকা চিনা আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক অর্থাৎ মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। চীনের অর্থ মন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৮৪% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে যে এই নতুন শুল্ক চিনের জাতীয় সময় ১০ এপ্রিল রাত ১২:০১ ( ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময় সকাল ৫টা ) থেকে কার্যকর হবে।
BREAKING: China retaliates, announcing 84% tariff on U.S. goods
— BNO News (@BNONews) April 9, 2025
চিন থেকে মার্কিন মুলুকে আগে যেসব দ্রব্য রপ্তানি হত আমেরিকায়, তার উপর ১০ শতাংশ শুল্ক ছিল। এপ্রিলের শুরুতেই ট্রাম্প আরও ৪৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন চিনা আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরে। অর্থাৎ এপ্রিলের শুরুতেই শুল্কের পরিমান হয় ৫৪ শতাংশে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা চিন মার্কিন দ্রব্যের উপর শুল্ক আরোপের বার্তা দিলেই, বড় হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন চিন নিজেদের হুঁশিয়ারি ফিরিয়ে না নিলে তিনি আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসাবেন। তাতে চিনা দ্রব্যের উপর শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশ।
মার্কিন দাদাগিরির প্রতিরোধে এবার তাই চিনও তাঁদের নতুন শুল্ক আরোপ করল মার্কিনী দ্রব্যের ওপর। আমেরিকা শুল্কের হার বলবৎ করতে অনড় থাকলে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাবে।