উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা ২০২৪ সালে আরও তিনটি সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে, সামরিক ড্রোন তৈরি করবে এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াবে। পিয়ংইয়ং নভেম্বরে তার তৃতীয় প্রচেষ্টায় একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করে এবং এই মাসে সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করে। Al-jazeera-এর খবর অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও জায়গায় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করা হয়। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) খবরে বলা হয়, নেতা কিম জং উনের সভাপতিত্বে পাঁচ দিনের দলীয় বৈঠক শেষে ২০২৪ সালের জন্য অন্যতম প্রধান নীতিগত সিদ্ধান্ত হিসেবে ২০২৪ সালে তিনটি অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। যুদ্ধকে অনিবার্য করে তোলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করে কিম শনিবার বৈঠক শেষ করেন। Russia : রাশিয়ার বেলগোরোডে ইউক্রেনের হামলা, নিহত ১৮
কিম বলেন, 'আমাদের আক্রমণ করার জন্য শত্রুদের বেপরোয়া পদক্ষেপের কারণে, কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনও সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।' তিনি সামরিক বাহিনীকে যে কোনো হামলার জবাবে প্রয়োজনে পারমাণবিক বোমা সহ 'দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো অঞ্চলকে শান্ত করার' জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে সামরিক চাপের নীতি অব্যাহত রাখতে চায়, যেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প যখন শেষবার ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তিনি কিমের সাথে দুটি বৈঠক করেন, এই ঘটনাকে ঘিরে প্রচুর শিরোনাম হলেও তারা কোনও অগ্রগতি করতে ব্যর্থ হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গভীর করেছে এবং পিয়ংইয়ং আরও অস্ত্র পরীক্ষা করায় নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটন দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েনের পাশাপাশি সিউল ও টোকিওর সাথে মহড়ায় তার দূরপাল্লার বোমারু বিমান ওড়ায়।