পাঁচ বছর পর বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি । ২০২০তে গালওয়ান সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। আর সেই ঘটনার পর এই ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি হল দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। বুধবার চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। যারমধ্যে অন্যতম বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি চলছে সেই নিয়ে আলোটনা। মোদীর মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ হোক বা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতি, এই সমস্ত জায়গাতে শান্তি ফেরাতে ভারত ও চিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ও চিনের সম্পর্ক প্রসঙ্গে মোদী জিনপিংকে বলেন, গত পাঁচ বছর পর দুই দেশ আবারও মুখোমুখি হয়েছে। আর এটা সঠিক সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার। এটা শুধু দুই দেশের মানুষের পক্ষেই সদর্থক বিষয় নয় বরং বিশ্বে শান্তি বজায় রাখারও জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ। গত চারবছরে আমাদের সীমান্তে যে ইস্যুগুলি তৈরি হয়েছে সেই নিয়ে ঐক্যতা থাকা প্রয়োজন। সীমান্তে যে সমস্যাগুলি হচ্ছে সেগুলি মিটিয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনা প্রয়োজন। এরজন্য পারস্পারিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর অক্টোবরে তামিলনাড়ুর মহাবালিপুরমে শেষবারের জন্য শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল মোদির। সেই ঘটনার কয়েকমাস পরেই ২০২০তে গালওয়ানে চিনা ও ভারতীয় জওয়ানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ২০২২-এ ইন্দোনেশিয়ার বালি ও ২০২৩-এ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহনেসবার্গে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও কখনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।