কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো (Photo Credit: Getty Images)

ওটাওয়া, ২২ অক্টোবর: জনতার বিচারে কানাডায় ফের ক্ষমতায় লিবারাল পার্টি (Liberal Party)। ভোটে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছেন লিবারাল পার্টির নেতা জাস্টিন ত্রুদো (Justin Trudeau)। তবে গতবারের চেয়ে অনেকগুলি আসন কম পেয়েছে দল। তাই য়েচেও এবার আর হাউস অব কমনসে সহজে কোনও বিল পাশ করাতে পারবেন না ত্রুদো। যথেষ্ট অস্বস্তি নিয়েই তাঁকে সরকার চালাতে হবে। ফেডারেল ভোটে (Canada Federal Elections 2019) প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল লিবারাল ও কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়া ছিল গ্রিন পার্টি ও নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কনজারভেটিভদের নেতা হলেন অ্যান্ড্রু শিয়ার। তিনি অবশ্য আগেই জানিয়েছেন কানাডা বাদে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। কানাডায় অবশ্য কারও দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা নেই।

এদিকে ভোটের ফলাফল দেখে বোঝা যাচ্ছে, লিবারাল পার্টির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ভোটারদের একাংশ নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। এই দলটির নেতা গুরমিত সিং। এলিজাবেথ মে-র গ্রিন পার্টিও কিছু ভোট পেয়েছে। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন সেই ত্রুদো। এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ত্রুদো প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। ৪৭ বছরের ত্রুদোর বাবা পিয়েরে ত্রুদো ছ’য়ের দশকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভোটের প্রচারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। শিয়ার সেই অভিযোগগুলি নিয়ে প্রচারও করেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। ত্রুদো এদিন দলের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, সারা দেশের মানুষ বিভাজনের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁরা প্রগতিশীল কর্মসূচির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মানুষ চান, পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। আরও পড়ুন-ইমরান খানের সরকারের আয়ু বেশিদিন নেই, পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফেরাতে বিক্ষোভের ডাক বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির

কানাডায় ফেডারেল ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২১ অক্টোবর। এটি দেশে ৪৩ তম সংসদীয় নির্বাচন। এই ভোটে হাউস অব কমনসের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কানাডার ভোটের ফল জানা যায়। হাউস অব কমনসে আসনের সংখ্যা ৩৩৮ টি। ১৭০ টি আসন পেলে কোনও দল গরিষ্ঠতা লাভ করে। এর আগে ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। ত্রুদোর লিবারাল পার্টি পেয়েছিল ১৭৭ টি আসন। বিরোধী কনজারভেটিভরা পেয়েছিল ৯৫ টি। এবার ত্রুদোর দল পেয়েছে ১৫৭ টি আসন। কনজারভেটিভদের আসন বেড়ে হয়েছে ১২১ টি।