করাচি, ২০ আগস্ট: ভারত বিরোধী মন্তব্যে ছেয়েছিল টুইটার (Anty India Tweet) , উপলক্ষ কাশ্মীর। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ হতেই পাকিস্তানিরা টুইটের মাধ্যমে কটূ কথা বলতে শুরু করে। প্রায় বাধ্য হয়েই এনিয়ে টুইটারের কাছে নয়াদিল্লি অভিয়োগ জানালে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যার জেরে প্রায় ২০০টি পাকিস্তানি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। পাক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাসপেন্ডেড টুইটার হ্যান্ডল থেকে কাশ্মীর সম্পর্কেই বিভিন্ন পোস্ট করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে কাশ্মীরের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে বহু পাকিস্তানি নাগরিক টুইট করেছেন। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মূলত সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সরকারি আধিকারিক, সেনা বাহিনীর টুইটারে ফলোয়ার যাঁরা তাঁরাই সাসপেনশনের আওতায় বেশি করে এসেছেন। কেননা এঁরাই কাশ্মীরের সমর্নে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন। তবে সাসপেন্ড হওয়ার পাশাপাশি আরও একটি ট্রেন্ড এখন পাকিস্তানে বর্তমান। #StopSuspendingPakistanis টুইটার থেকে পাকিস্তানিদের সাসপেন্ড করা বন্ধ হোক এমন দাবিও ট্রেন্ডিং রয়েছে। এই প্রসঙ্গে সেদেশের জনসংযোগ আধিকারিক মেজর জেনারেল গফুর জানিয়েছেন। ফেসবুক ও টুইটারে যাঁরা কাশ্মীর প্রসঙ্গে পোস্ট করছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টই সাসপেন্ড হচ্ছে। এই নিয়ে পাকিস্তানের টেলি কমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষ সেদেশে টুইটারের যে কার্যালয় রয়েছে সেখানে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রেস সচিব আরসালান খালিদ সংবাদমাধ্যম ডন-কে জানিয়েছেন, আমরা একটি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছি। একই সঙ্গে যে ২০০টি টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছে, তার বিশদও জানতে চেয়েছি। ঠিক কী কী কারণে সংশ্লিষ্ট নেটিজেনরা টুইটার হ্যান্ডল ব্যবহার করতে পারছেন না, তা জানতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতি যাতে ভবিষ্যতে আর না আসে সেজন্য জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি বোর্ডের সঙ্গে সরকার কাজও করবে। আরও পড়ুন-Zakir Naik: জাকির নায়েকের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা মালয়েশিয়ায়, আরও কোণঠাসা ধর্মপ্রচারক
সরকারি তরফে ডন-কে দেওয়া সেই সাসপেন্ডেড টুইটার অ্যাকাউন্টের তালিকায় রয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস সচিব মাসওয়ানি আজহার। তিনিও কাশ্মীর প্রসঙ্গে পোস্ট করেছিলেন, তাই তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছে। এই প্রসঙ্গে টুইটার জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব নীতি মালা রয়েছে। যাঁরাই টুইটার হ্যান্ডল ব্যবহার করবেন, তাঁরা প্রত্যেকে সেই নীতিমালা মেনে চলতে বাধ্য। কেউই সেখানে বিদ্বেষ মূলক কোনও মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। তবে কোনও ব্যক্তিমতের অ্যাকাউন্ট সংপর্কে দুই তরফের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।