Couple Representative Photo (Photo Credits: Pixabay)

Friendship Marriage: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য কোন সমস্যা দেখা দিলেই বিচ্ছেদের (Divorce) সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা। দুজনেই যখন স্বাবলম্বী তখন একজনের কাছে অপরজন নতি স্বীকার করতে নারাজ। ফলে তিক্ত বৈবাহিক সম্পর্কের বোঝা বয়ে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে বিচ্ছেদই তখন নিস্তারের একমাত্র পথ হয়ে উঠছে। এছাড়া মন জুগিয়ে চলতে না পারলে কিংবা শারীরিক সম্পর্কের চাহিদা মেটাতে না পারলে স্বামী বা স্ত্রীর তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে সাংসারিক কলহ যেন ঘরে ঘরের ঘটনা। বিবাহের এই সমস্ত নেতিবাচক দিকগুলো চিহ্নিত করে এক নতুন সমাধানের দিকে পা বাড়িয়েছে জাপান (Japan)। নতুন এক সম্পর্কের চল তৈরি হয়েছে সে দেশে। তা হল 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ' (Friendship Marriage)। জাপানের তরুণদের মধ্যে এই 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ' বা 'বন্ধুত্ব বিবাহ' দারুণ আকর্ষণীয় একটা বিষয় হয়ে উঠেছে।

এক চিনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এ (South China Morning Post) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জাপানের ১২৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশের কাছে ইতিমধ্যে এই 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ'এর ধারণা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ' বা 'বন্ধুত্ব বিবাহ' (Friendship Marriage) আসলে কী? অনেকের কাছেই এই সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই। তাহলে চলুন ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ কী তা জেনে নেওয়া যাক...

'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ' বা 'বন্ধুত্ব বিবাহ' (Friendship Marriage) এমন এক সম্পর্ক যেখানে দুটো মানুষ আইন মেনে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হবেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনরকম রোমান্টিক কিংবা শারীরিক সম্পর্ক বাধ্যতামূলক নয়। সম্পর্কের মধ্যে থাকবে না কোন অধিকার, চাহিদা, প্রত্যাশার বেড়াজাল। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তাঁরা অপর মহিলা কিংবা পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারেন। আইন মেনে তাঁরা বিবাহিত হলেও একসঙ্গে থাকার ক্ষেত্রে নেই কোন বাধ্যবাধকতা। চাইলেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে পারেন। আবার দম্পতি চাইলে কৃত্রিম গর্ভধারণের মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।

Colorus নামক এক এজেন্সি 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ' (Friendship Marriage) নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে এখনও অবধি জাপানে প্রায় ৫০০ জন এই নতুন বিবাহের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার সন্তান গ্রহণ করে নিজেদের সুখী পরিবার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ৮০ শতাংশ দম্পতির ক্ষেত্রে এই বিবাহ সফল বলেই দাবি করছে ওই সংস্থা।

সংস্থার সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, ৩০ বছরের পর থেকে ব্যক্তিরা 'ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ' এর দিকে পা বাড়াচ্ছে। এছাড়া সমকামী, তৃতীয় লিঙ্গ কিংবা যৌন সম্পর্কে আগ্রহী নন এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও এই বিবাহের প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে।