Benjamin Netanyahu: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ দায়ের
বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু (Photo Credits: Getty Images)

তেল আভিভ, ২২ নভেম্বর: দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু (Israel PM Benjamin Netanyahu) বিরুদ্ধে। ঘুষ নেওয়া, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি পৃথক অভিযোগ উঠেছে বেঞ্জামিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তের পর এই অভিযোগ এনেছেন ইজরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট (Avichai Mandelblit)। একটি বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল ঘোষণা করেছেন যে বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহুকে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি কেস ১,০০০, কেস ২,০০০ এবং কেস ৩,০০০ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অভিযোগে নেতানেইয়াহুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পথও প্রশস্ত হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী আইন এনে এই প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার তীব্র চেষ্টা করেছিলেন।

কেস ১,০০০ এর অধীনে বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহুর বিরুদ্ধে কোটিপতি বন্ধুদের কাছ থেকে গোলাপি শ্যাম্পেন এবং সিগার সহ বিপুল পরিমাণে উচ্চমানের উপহার নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরিবর্তে, তিনি সরকারের মাধ্যমে ওই বন্ধুদের নানা সুযোগ সুবিধা দেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে। কেস ২০০০ এর অধীনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে প্রতিদ্বন্দ্বী সংবাদপত্রকে দুর্বল করতে সরকারের নিয়ন্ত্রক শক্তিগুলি ব্যবহার করার জন্য তিনি একটি মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেন। বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু ওই মিডিয়া সংস্থাকে অনৈতিক সহায়তা প্রদানের বদলে সরকারের ইতিবাচক কভারেজ চেয়েছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও পড়ুন: Delhi: থানায় বিচারাধীন বন্দির জন্মদিনের পার্টি, সাসপেন্ড দিল্লি পুলিশের ৬ কর্মী

কেস-৩০০০ হল সবচেয়ে গুরুতর। কারণ, এই কেসে নেতানিয়াহুকে জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টেলিকম জায়ান্ট মালিকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক আইন নিশ্চিত করার পরিবর্তে নিউজ ওয়েবসাইটে ইতিবাচক কভারেজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

এক বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "এটা ইজরায়েলের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যও খুব দুঃখের দিন। এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্য়ু নয়।" ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু। সূত্র অনুযায়ী, তাঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর রাজনৈতিক জীবন নষ্ট হতে পারে। কারণ এই অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন বেঞ্জামিন নেতানেইয়াহু।