ওয়াশিংটন, ৮ জানুয়ারি: ইরাকে অ্যামেরিকার (USA) দুটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান (Iran) ৷ এদিকে ইরাক, ইরান ও পার্সিয়ান গল্ফে অ্যামেরিকার বিমান চলাচলে জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ ৷ এরপরই ইরানকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। টুইটে তিনি লেখেন, "অল ইজ ওয়েল ৷ কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ কাল আমি বিবৃতি দেব ৷" তাঁর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সজ্জিত সামরিক বাহিনী রয়েছে অ্যামেরিকার হাতে।
বুধবার ভোরে ইরাকে (Iraq) দুটি অ্যামেরিকার (USA) সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র (Missiles) হামলা চালায় ইরান (Iran)। অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে (Qasem Soleimani) হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের ওই দুটি সেনাঘাঁটির নাম আল-আসাদ ও ইরবিল। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন: Iran Attacks Bases Housing US Troops: ইরাকে অ্যামেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলা
All is well! Missiles launched from Iran at two military bases located in Iraq. Assessment of casualties & damages taking place now. So far, so good! We have the most powerful and well equipped military anywhere in the world, by far! I will be making a statement tomorrow morning.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 8, 2020
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, "ইরাকে অ্যামেরিকার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শও করছেন।" তিনি বলেন, "এটা স্পষ্ট যে এই মিসাইলগুলি ইরান থেকে ছোঁড়া হয়েছিল এবং আল-আসাদ ও ইরবিলে আমাদের কমপক্ষে দুটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল।"
Iran Foreign Minister Javad Zarif: We do not seek escalation or war, but will defend ourselves against any aggression. (2/2) https://t.co/sQWSje74fh
— ANI (@ANI) January 8, 2020
ট্রাম্পের টুইট করতেই আরও একবার অ্যামেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ইরান একটি বিবৃতি জারি করে দাবি করেছে যে তারা কোনও সামরিক তীব্রতা বৃদ্ধি বা যুদ্ধের পক্ষে নয়। ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেন, আত্মরক্ষর উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। টুইটে ইরানের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, "রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনেই ইরান আত্মরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তা সমাপ্ত হয়েছে।" তিনি আরও লেখেন, "আমরা বাড়াবাড়ি বা যুদ্ধ চাই না, তবে যে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করব।"