প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

পাটনা, ১ এপ্রিলঃ ভালোবাসা সত্যিই অন্ধ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স - কোন কিছুর বাধা মানে না দুটি মন এক হওয়ার জন্যে। তাই তো বছর ২২-এর এক যুবক প্রেমে পড়লেন তাঁরই বন্ধুর মায়ের। মন এবং শরীর দুই সম্পর্কের জোয়ার দুজনে এমন ভাসলেন যে বিচ্ছেদ শীঘ্রই ঘনিয়ে এলো। বন্ধুর মায়ের সঙ্গে প্রেম যুবকের জীবনের চরম পরিণতি ডেকে আনল। মহিলার পরিবারের হাতে পিটিয়ে খুন হতে হল যুবককে। বিহারের (Bihar) সীতামারহির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

এক সূত্র মারফত খবর, চিকনা গ্রামের বাসিন্দা নিহত যুবকের নাম রাজা কুমার। ওই গ্রামেরই এক মহিলা রীনা দেবীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান রাজা। এদিকে রীনার ছেলে এবং রাজা খুব ভালো বন্ধু। দিল্লির একটি হোটেলে কাজ করতেন রাজা। বন্ধুর বাড়িতে প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। আর সেই যাওয়া-আসার মাঝে বন্ধুর মায়ের সঙ্গে মন দেওয়া- নেওয়া হয়। মন থেকে সম্পর্ক শরীর ছুঁইতে বেশি সময় নেয়নি। বন্ধুর অনুপস্থিতিতেই তাঁর বাড়িতে রাজার যাতায়াত বাড়ল। এই ভাবে প্রায় ৫ বছর চলল দুজনের সম্পর্ক।

এরই মাঝে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের গন্ধ পান স্বামী জগদীশ রাই। ক্রমশ সন্দেহ বাড়ে তাঁর। দিন কয়েক আগে দিল্লি থেকে রাজা বাড়ি ফেরেন। রীনার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে আসেন। আর সেদিনই দুজনকে একেবারে হাতেনাতে ধরেন জগদীশ। পরিবার এবং প্রতিবেশীকে জড়ো করে শুরু হয় মারধর। প্রচণ্ড মারের চোটে মৃতপ্রায় অবস্থা হয় রাজার। মারের ভয়াবহতা দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতাকে সরিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান রাজা।

নিহত যুবকের বাবা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রীনা দেবী, তাঁর স্বামী জগদীশ রাই, রীনার জামাই রাজীব কুমার এবং আরও দুই আত্মীয় সহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।