ইরাকে অ্যামেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলা (Photo: ANI)

তেহরান, ৮ জানুয়ারি: ইরাকে (Iraq) দুটি অ্যামেরিকার (USA) সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র (Missiles) হামলা চালাল ইরান (Iran )। অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে (Qasem Soleimani) হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকের ওই দুটি সেনাঘাঁটির নাম আল-আসাদ ও ইরবিল। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, "ইরাকে অ্যামেরিকার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শও করছেন।" তিনি বলেন, "এটা স্পষ্ট যে এই মিসাইলগুলি ইরান থেকে ছোঁড়া হয়েছিল এবং আল-আসাদ ও ইরবিলে আমাদের কমপক্ষে দুটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল।" আরও পড়ুন: Australia Bush Fire: বৃষ্টিতেও মেলেনি রেহাই, দাবানলের আগুন দূরত্ব ঘুচিয়েছে পশু-মানুষের

ইরানের রিভোলিউশনারি গার্ড ঘোষণা করেছে যে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে কয়েক ডজন মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে পাল্টা আক্রমণে গেলে আরও বড় হামলা চালাবে তেহরান। ইরাকের উদ্দেশ্যে তাদের হুঁশিয়ারি, "অ্যামেরিকার সেই সব মিত্রদের সতর্ক করছি, যারা এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। যেসব অঞ্চল বা এলাকা থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।"

গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য সেনারা প্রস্তুত।