‘কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা, সেখানে হাত পড়লে তো দেশের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে চলে আসে’ ইমরান খান
ইমরান খান(Photo Credit: IANS)

ইসলামাবাদ, ৬ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীর হল পাকিস্তনের ঘাড়ের শিরা (jugular vein)। ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা খর্ব করাতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার সে দেশের প্রতিরক্ষা ও শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের এক বার্তায় একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে ভারত সরকার। এই ঘটনার পরেই বিশ্ব রাজনীতিতে ও জাতিপুঞ্জের কাছে কাশ্মীর আসলে কী তা জানাতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান। এজন্য পাক সরকারের তরফে এক সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচারও শুরু হয়েছে। ১৯৬৫ সালে হওয়া ভারত পাক যুদ্ধের দিনটি হল আজ ৬ সেপ্টেম্বর। এই দিনটিকে পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা ও শহিদ দিবস (Defence and Martyrs Day) হিসেবে পালনীয়।

সেখানেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের কাছে কাশ্মীর হল তার ঘাড়ের শিরা। সেই কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস খর্ব হওয়াতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা (security and integrity)চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।আমি আন্তর্জাতিক স্তরে একটি আবেদন রাখতে চাই যে, ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের সুরক্ষার বিষয়টি ভালভাবে পর্যালোচনা করা হোক। এটা এমনই একটা বিষয় যা শুধু সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রভাব ফেলবে এমন নয়, গোটা বিশ্ব এর জন্য আলোড়িত হতে পারে। যদি ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রাগারগুলিকে নজরে না রাখা যায় তাহলে কোনওরকম বিপর্যয় ঘটলে তার পরবর্তী ফল ভোগের দায় নিতে হবে বিশ্ব রাজনীতিকেই। আমি বিশ্বেক জানাতে চাই যে পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না। কিন্তু একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা যদি চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়ায় তাহলে পাকিস্তান চোখ বুজে থাকবে না।’ আরও পড়ুন-ভারতীয় নাবালিকাকে লিফটে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি, ধৃত পাক যুবককে সাজা দিল দুবাইয়ের আদালত

উল্লেখ্য, গত মাসের পাঁচ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয় ভারত। তারপর থেকেই যেন তেনপ্রকারেণ ভারতকে চাপে ফেলতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে দরবার শুরু করেছে ইমরান খানের পাকিস্তানয প্রিয়বন্ধু চিন সেকাজে কিছুটা সহযোগিতা করতে এলেও ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে এটি একেবারেই অভ্যন্তরীণ বিষয। এথানে নাক গলানো যাবে না। এরপরেই সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রেখেছে চিন। তবে পাকিস্তানের কতা ভেবে জাতিপুঞ্জে বিষয়টি উত্থাপনও করে বেজিং, লাভ কিছুই হয়নি উল্টে ইমরানকে শুধরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের এহেন কর্মকাণ্ডে বেজায় চটেছে নয়াদিল্লি, ইসলামাবাদকে এজন্য তীব্র সমালোচনাও করা হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তীরণ বিষয়ে উসকানি মূলক মন্তব্য করে যে পাকিস্তান দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে, তা মনে করাতে ভোলেনি সাউথ ব্লক। এদিন প্রতিরক্ষা দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাওালপিণ্ডিতে সেনার সদর দপ্তরের এক বক্তৃতায় সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া (Gen. Qamar Javed Bajwa) বলেন, কাশ্মীর হল পাকিস্তানের অসম্পূর্ণ অ্যাজেন্ডা। এর সমাধানের জন্য জাতিপুঞ্জের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করতে হবে।