
একইসঙ্গে ৬ সদস্যের আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল। তাই প্রথমদিকে সকলেই ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খেয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার সকালে ঘুম ভাঙে প্রণয়, প্রসূণ ও নাবালক প্রতীপ দে-র। তারপরেই তাঁরা ওই অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এরপর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরার পর অবশেষে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। যদিও বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে দুজনে তাঁদের স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যাকে খুন করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে এমনই তত্ত্ব উঠে আসল ট্যাংরায় (Tangra) দে বাড়িতে দেহ উদ্ধারের ঘটনায়।
একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা দে পরিবারের
জানা যাচ্ছে, বুধবার এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে প্রকাশ্যে আসে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তারপর জানা যায়, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে দুই মহিলা এবং এক নাবালিকাকে। এদিকে আহতদের মধ্যে একজনের বয়ান অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আগের দিন রাতে ৬ জনই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সকালে ঘুম ভাঙতেই সবকিছু বদলে যায়।
বাঁচতে চায়নি নাবালকও
যদিও সকালে তিন সদস্য জেগে ওঠার পর প্রতীপকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রসূণ ও প্রণয়। আর সেই কারণে তাঁকে কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে নামিয়ে বাকি দুজন আত্মহত্যা করতেন। কিন্তু বাধ সাধে নাবালক। সেও তাঁদের সঙ্গে আত্মহত্যা করবে বলে দাবি করে। তারপরেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে।
দেনায় ডুবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দে পরিবার
পুলিশসূত্রে খবর, ব্যবসায় বিপুল পরিমাণে ক্ষতি ও একাধিক ব্যাঙ্ক ও এজেন্সি থেকে কোটি কোটি টাকার লোন নিয়েছিলেন দুই ভাই। সেই টাকা মেটাতে না পারায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাঁরা। যদিও এখনও একাধিক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলে দাবি পুলিশকর্তাদের। এদিকে আহতদের এখনও চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।