দুবাই, ৬ সেপ্টেম্বর: অ্যালিভেটরের(লিফট) মধ্যে ঠিকানা জানতে চাওয়ার অজুহাতে নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠল এক পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে ১০ দিনের জেলা হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালাত। জুন মাসের মাঝামাঝি নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুবাইতে। সেখানকার এক বহুতলের অ্যালিভেটরেই এই দুষ্কর্মটি করে অভিযুক্ত পাকিস্তানি। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা ভারতীয়। সে অঙ্ক করতে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে গিয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি খাতা না আনায় নিজের ফ্ল্যাটে ফেরত যায়। সেখান থেকে ফেরার সময়ই ঘটনাটি ঘটে।
ওই আবাসনের বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিার গৃহশিক্ষিকা। তিনিও ভারতীয়, তিনি নিজে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর ছাত্রী খাতা আনতে নিজেদের ফ্ল্যাটে যায়। যাওয়ার সময় সে স্বাভাবিক থাকলেও ফেরা পর দেখা যায় তার মুখ বিবর্ণ, সে থরথরিয়ে কাঁপছে কাঁদছে। কী হয়েছে জানতে চাইতেই কেঁদে ফেলে। তারপর গোটা ঘটনার বিবরণ দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষিকা তাঁর প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানিয়ে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার অনুরোধ করেন। সেখানেই অভিযুক্তের দেখা মেলে। অভিযুক্ত ছ’তলার এক ফ্ল্যাটে কোনও একটি প্যাকেট ডেলিভারি দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু করিডরে ওই নাবালিকাকে দেখার পর সে ডেলিভারি না দিয়েই তার পিছু নেয়। নাবালিকা লিফটে ঢুকতেই সে-ও ঢুকে পড়ে। এরপর দরজা বন্ধ হতেই নাবালিকার সঙ্গে অসভ্যতা শুরু করে সে। তার শরীরে আপত্তিকরভআবে হাত দিতে থাকে। সেভাবেই আবাসনের কোনও একটি ফ্ল্যাটের ঠিকানা জানতে চায়। আরও পড়ুন-Japan Train Crash: ফল বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় জাপানে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (দেখুন ভিডিও-তে)
এই ঘটনার পরেই স্থানীয় আলরাফা থানায় পাকিস্তানি ডেলিভারি ম্যানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। বছর ৩৫-এর অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেরা করতেই তৎক্ষণাৎ শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে সে। তবে কোনওভাবেই পার পেয়ে যায়নি। জুন মাস থেকে টানা তদন্ত চলার পর দুবাই হাইকোর্ট গতকাল অভিযুক্তকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।