Kulbhushan Jadhav Case: কুলভূষণ যাদব কাণ্ডে পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশনের রীতি ভেঙেছে, মুখ খুললেন আইসিজে প্রেসিডেন্ট আবদুলকোয়াই ইউসুফ
কুলভূষণ যাদব (Photo Credit: PTI)

রাষ্ট্রপুঞ্জ, ৩১ অক্টোবর: ভিয়েনা কনভেনশনের রীতি ভেঙেছে পাকিস্তান। বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের (UNGA) সাধারণ সভায় একথাই বললেন, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের প্রেসিডেন্ট আবদুলকোয়াই ইউসুফ (Abduylqawi Yusuf)। ইউসুফের এহেন বক্তব্যের জেরে ভারতীয় বন্দি কুলভূষণ যাদবকে (Kulbhushan Jadhav) নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বড় ধাক্কার মুখে পড়ল পাকিস্তান। কুলভূষণ যাদবের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশনের (Vienna Convention) ৩৬ ধারা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এদিন আবদুলকোয়াই ইউসুফ রাষ্ট্রপুঞ্জে বলেন, “আমাদের বিচার্য বিষয় ছিল, ভিয়েনা কনভেনশনের ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী পাকিস্তান কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্মীদের দেখা করতে দিতে বাধ্য কিনা। আমরা দেখেছি, ভিয়েনা কনভেনশনে কোথাও বলা হয়নি, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যাঁরা ধরা পড়বেন, তাঁদের সঙ্গে দূতাবাস কর্মীদের দেখা করতে দেওয়া হবে না।”

উল্লেখ্য, কুলভূষণ যাদব নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ কুলভূষণ গ্রেপ্তার হন। পাকিস্তান তাঁকে গ্রেপ্তার করার তিন সপ্তাহ পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানায়। ২২ দিন পরে পাকিস্তানের বিদেশ সচিব আইজাজ আহমেদ ইসলামাবাদে ভারতের হাইকমিশনারকেই প্রথম এই বিজ্ঞপ্তির কথা জানিয়েছিলেন। এক্ষেত্রেও তারা ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। তবে কেন এই গ্রেপ্তারির খবর দিতে ২২দিন দেরি হল তার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও তথ্য দেয়নি পাকিস্তান। এদিকে গ্রেপ্তারির সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় কনস্যুলেটকে যে পাকিস্তানের জানানো উচিত তানিয়ে কোনও দ্বিধা চলে না। আরও পড়ুন-গুরু নানকের ৫৫০-তম জন্ম জয়ন্তীতে ৫০ টাকার স্মারক কয়েন প্রকাশ পাকিস্তানের

পাকিস্তানের অভিযোগ, কুলভূষণ যাদব চরবৃত্তি করতে সেদেশে ঢুকেছিলেন। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সেনা আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ভারতের পালটা বক্তব্য, কুলভূষণ তাঁর ব্যবসার কাজে ইরানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পাকিস্তানের গুপ্তচরেরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিল দিল্লিও। তার বক্তব্য ছিল, পাকিস্তানে ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্মীরা কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। দিল্লির অভিযোগেই সায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। একইসঙ্গে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের আদেশও পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। বন্দি কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড যাতে না হয়, সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে আন্তর্জাতিক আদালত যেভাবে পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে, তাতে ভারতের সেই উদ্যোগের সাফল্য দেখছেন অনেকে। তাইতো ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের প্রেসিডেন্ট আবদুলকোয়াই ইউসুফ কুলভূষণ কাণ্ডে পাকিস্তানকেই দোষারোপ করলেন।