দিল্লি, ৭ জানুয়ারি: নেপাল-তিব্বত (Nepal Earthquake) সীমান্ত মঙ্গলবার ভোরে প্রবল ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে ওঠে। নেপাল-তিব্বত সীমান্তে প্রবল কম্পনের জেরে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলছে। সেই সঙ্গে এই কম্পনের প্রভাব তিব্বতে অত্যন্ত গভীরভাবে পড়েছে। ফলে তিব্বতে যেমন বাড়িঘর ভেঙে ছারখার হয়ে গিয়েছে, তেমনি মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই এমন সব খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। তিব্বতের (Tibet) পাশাপাশি চিনেও (China) কম্পনের জেরে মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর। সেই সঙ্গে সমানহারে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও।
দেখুন ভূমিকম্পে কীভাবে কেঁপে ওঠে তিব্বত...
Locals are in tears following a heavy earthquake in Dingri, Tibet. pic.twitter.com/5hifCDeHUq
— Palden Gyal (@Gyal_1959) January 7, 2025
তিব্বত সীমান্তে প্রবল ভূমিকম্পের জেরে মঙ্গলবার ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে ওঠে। বিশেষ করে উত্তর ভারত।
আরও পড়ুন: Earthquake Video: নেপাল-তিব্বত সীমান্তে প্রবল ভূমিকম্পে ছারখার বাড়িঘর, মৃত ৩২, আহত বহু
মঙ্গলবার সকাল ৬.৫৩ নাগাদ ভূমিকম্প শুরু হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। যার জেরে ভারত, বাংলাদেশ, চিন, ভূটানেও কম্পন অনুভূত হয়।
আতঙ্ক বাড়তে শুরু করে...
Earthquake this morning at Hotel Everest View. pic.twitter.com/rR9Iletxje
— Everest Today (@EverestToday) January 7, 2025
ইউরেশিয়া প্লেটে কম্পনের জেরে ভূমিকম্প অনুভূত হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে।
জানা যাচ্ছে, প্রবল কম্পনের জেরে চিনে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিব্বতে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর মিললেও, চিনে সেই সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
মঙ্গলবার ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৬বার কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা। পরর ৬বারের কম্পন অনুভূত হয় নেপাল এবং তিব্বতের পড়শি দেশগুলিতে।
গত ৫ বছরে যে ভূমিকম্পগুলি হয়েছে, তার মধ্যে মঙ্গলবারের কম্পন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। যার জেরে ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন ২২ হাজারের বেশি মানুষ। প্রচুর বাড়িঘর ওই সময় ভেঙে পড়ে। নেপাল জুড়ে তীব্র হাহাকার শুরু হয় ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে। ২০১৫ সালের পর এবার ফের প্রবল কম্পনের আতঙ্কে কেঁপে ওঠে গোটা নেপাল। যার ঝটকা শিলিগুড়ি এবং কলকাতাতেও লাগে। ফলে শহরবাসীর মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে হু হু করে।