ওয়াশিংটন, ২৭ মে: ভারত (India) ও চিনের (China) মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আজ বিকেলে একটি টুইটে ট্রাম্প লেখেন, "আমরা ভারত ও চিন উভয়কে জানিয়েছি যে অ্যামেরিকা তাদের বর্তমান ক্রম বর্ধমান সীমান্ত বিরোধে মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। ধন্যবাদ!"
সীমান্ত বিবাদ ঘিরে গত ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটের পর ফের ভারত এবং চিন ফের এক বড় সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্ত বিবাদিত সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সত্বেও তা মানেনি চিন। যার ফলে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দু'দেশের সীমান্ত। যার সাম্প্রতিকতম দৃষ্টান্ত পূর্ব লাদাখ। সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে হঠাৎই চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আরও পড়ুন: Narendra Modi: লাদাখে চিনা আগ্রাসনে তৎপর কেন্দ্র সরকার, অজিত দোভাল ও ৩ বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক নরেন্দ্র মোদির
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে বেজিং লাদাখের কাছে তাদের বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চালাচ্ছে। এমনকী বেশ কিছু চিত্রে এও দেখা গেছে যে, কয়েকটি যুদ্ধবিমানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সীমান্তবর্তী গালওয়ান এলাকায় ভারত একটি সড়ক ও সেতু নির্মাণ শুরু করতেই সেবিষয়ে চরম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিন। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে চিন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনীও লাদাখ সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে আরও বেশি করে সেনা মোতায়েন করার কথা ভাবছে।
We have informed both India and China that the United States is ready, willing and able to mediate or arbitrate their now raging border dispute. Thank you!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) May 27, 2020
এদিকে আজ চিন কিছুটা সুর নরম করেছে। ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং বলেন, "চিন ও ভারত এক সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং আমাদের সম্পর্ক বাড়ানোর কাজ রয়েছে। আমাদের যুবকদের চিন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অনুধাবন করা উচিত। ২ টি দেশ একে অপরের জন্য সুযোগ এবং এতে কোনও আশঙ্কা নেই।" তিনি আরও বলেন, "কখনই পার্থক্যকে আমাদের সম্পর্কের ছাপ ফেলতে দেওয়া উচিত নয়। যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের মত পার্থক্যের সমাধান করা উচিত।"