বেজিং, ৩০ জানুয়ারি: বাড়ছে করোনাভাইরাস (Coronavirus ) আক্রান্তের সংখ্যা, সঙ্গে মৃত্যুও। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মহামারীর মতো। ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭০। চিনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭,৭০০-র কাছাকাছি। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে অন্যান্য প্রদেশেও। তিব্বতেও দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। স্কুল, কলেজ, অফিস সবকিছু পাকাপাকিভাবে বন্ধ।
চিনের উহান (Wuhan) থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। সেই ভাইরাস এখন থাবা বসিয়েছে দেশের অন্যান্য শহরেও। বেজিংয়ে ১১১ জনের ভাইরাস-জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সাংঘাই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ১০০, আরও বাড়তে পারে সংখ্যা। এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বার্তা দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হবে। লড়াই করছে গোটা দেশ।
এনএইচসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল নতুন করে কমপক্ষে ১,৩৭০ জনকে ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও ১২,১৬৭ জনের মধ্যে। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন, বিরাট জয় ভারতের, সিএএ-র বিরোধিতায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কট ইউরোপীয় ইউনিয়নের
মঙ্গলবার জার্মানি ও শ্রীলঙ্কায় প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলেছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা, সিঙ্গাপুর, নেপাল, তাইল্যান্ড, জাপান-সহ অন্য দেশে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল আগেই। ভাইরাস সংক্রমণ ভয়ানক আকার ধারণ করায় মঙ্গলবার থেকে দেশের সমস্ত স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেল পরিষেবা। হুবেই থেকে আসা মানুষদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করেছে বেজিং ও সাংহাই। হুবেই, উহান-সহ দেশের ১৮টি শহরকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই চিন সরকার নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ আপাতত স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছে। আমেরিকা ইতিমধ্যেই নাগরিকদের চিনে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিনা নাগরিকদের জন্য আপাতত ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপিন্স। চিনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য খুব দ্রুত ৪৩০ সিটের জাম্বো বোয়িং পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।