হংকং, ৬ মার্চ: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) প্রকোপে একেবারে ক্ষতির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গিয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক জোনের অর্থনীতি। প্রায় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হতে চলেছে। যা গোটা এক দশকেও পূরণ করা সম্ভব নয়। এরফলে বেশ কয়েকটি দেশ যে মন্দায় জর্জরিত হবে তা বলাই বাহুল্য। গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়েছিল চিনে। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই সবমিলিয়ে বিশ্বের ৮৫টি দেশে ছড়িয়েছে এই মারণ রোগ। সংক্রমণ ঠেকাতে চিনের সমস্ত সীমান্ত বন্ধ। ব্যবসা বামইজ্যও বন্ধ গিয়েছে। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, প্রয়োজনেও সেসব দেশে যাওয়ার দরজা বন্ধ। ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতি প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনার গ্রাসে অর্থনীতির বুকে চলছে হাতুড়ির ঘা।
এদিকে চিনে যে গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, চিনের বাইরে এই সংক্রমণ ১৭ গুণ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট তেমনটাই বলছে। সেই সঙ্গে এই ভাইরাসের প্রতিরোধে সমস্ত দেশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে হু। শুরুটা হয়েছিল চিনের উহান আর হুবেই প্রদেশ থেকে। সেখানে করোনা মৃত্যুর তাণ্ডব চালাচ্ছে তো বটেই, চিন ছাড়িয়ে ইউরোপ এবং এশিয়াতেও দ্রুত থাবা বসাতে শুরু করেছে এই ভাইরাস। চিনে ইতিমধ্যেই ৩,৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রসঙ্গে হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, “ভাইরাসকে যেনতেন প্রকারে ঠেকাতে হবে। এটা আত্মসমর্পণের সময় নয়। কোনও অজুহাতের সময় নয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।” আরও পড়ুন- Coronavirus in Bhutan: করোনাভাইরাসের কবলে ভুটানে ১
বিশ্বজুড়ে ক্রমেই চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৮,০০০। মারা গিয়েছেন ৩,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ। করোনা ত্রাস ছড়িয়েছে ৭০-এরও বেশি দেশে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হু। WHo-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস অধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, 'এটা মহড়া চলছে না। হাল ছাড়ার সময়ও এটা না। কোনও অজুহাত দেওয়ারও সময় নয়। এখন সবরকমভাবে আটকাতে হবে করোনাকে।'