Joe Biden (Photo Credit: Instagram)

সিংহাসনের লড়াইয়ে মূল প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে বিপর্যয়ের পর আরও একবার 'মুখ পুড়ল' মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। ৮১ বছরের বাইডেন শারীরিক দিক থেকে প্রেসিডেন্ট পদে বসতে অক্ষম হয়ে পড়েছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির প্রচার আরও গতি পেল। কারণ বাইডেন নিজেই নিজের নৌকা ডোবাতে নেমে পড়েছেন। ইউরোপের শক্তিশালী দেশগুলির সঙ্গে ন্যাটোর সম্মেলন শেষে বাইডেন বললেন, এবার বক্তব্য রাখবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জেলেনস্কি-কে পুতিন বলে ডেকে চরম কটাক্ষের মুখে পড়লেন বাইডেন। যে পুতিনের বিরুদ্ধেই এই সম্মেলন, তাকেই বাইডেন ডেকে বসলেন বক্তব্য রাখতে! বাইডেনের 'কমেডি অফ এররস'এখানেই শেষ নয়। এই সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পরেই বাইডেনের কাছে ছিল অগ্নিপরীক্ষা। সিএনএন-এর বিতর্ক সভার বিপর্যয়ের পর এই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন বাইডেন। বাবরার সেই সাংবাদিক সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার পর বাইডেন আসেন সাংবাদিকসম্মেলনে। ঘণ্টাখানেকের সাংবাদিক সম্মেলনে বাইডেন ঠিকই এগোচ্ছিলেন।

বিতর্ক সভায় ট্রাম্পের কাছে 'হার'টা শুধু যে 'ওয়ান ব্যাড ডে ইন অফিস', তিনি এখনও ফিট তা প্রমাণের সেরা মঞ্চ ছিল ৮১-র বাইডেনের কাছে। কিন্তু সেখানেও বাইডেন নিজের ক্ষতিটা নিজেই করলেন। বেশ কিছুক্ষণ স্বাচ্ছন্দে কথা বলার পর বাইডেন খেই হারিয়ে বললেন, কমলা হ্যারিস হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বললেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে ট্রাম্পকে মহিলাও অ্যাখা দিলেন। তবে বাকি সময়টা সাংবাদিক সম্মেলনে মন্দ বলেননি বাইডেন। কিন্তু তার শরীর নিয়ে গুঞ্জন এতই প্রবল যে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বলে ভরাডুবি করলেন বাইডেন। বিতর্ক সভায় ভরাডুবি থেকে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টায় আরও একবার ক্লান্ত হয়ে পড়লেন বাইডেন।

ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে, বাকি সব কিছু পরাস্ত করতে পারলেও বয়সটাকে হার মানাতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান সিংহাসনে বসে বয়স বারবার থাবা বসালে খুব মুশকিল।

দেখুন ভিডিয়ো

বাইডেনের এই জোড়া ভ্রান্তি বিলাসের পর তার দল ডেমোক্রাটদের একটা বড় অংশ তাকে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইছেন না। এবার বাইডেন সরে দাঁড়ান সেটা তার দলের অধিকাংশের মত। সমীক্ষা বলছে, আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে জো বাইডেন বনাম ডোনাল্ড ট্রাম্প হলে তাতে ১ শতাংশের ব্যবধানে জিতবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাইডেন সরে দাঁড়িয়ে কমলা হ্যারিস যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়েন তাতে ডেমোক্রাটরা ৪ শতাংশে জিতবে।

এই কারণেই ডেমোক্রাটদের একটা বড় অংশ বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস-কে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইছে। বাইডেনও এদিন বলেছেন, ভাল প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষমতা আছে কমলা হ্যারিসের। প্রসঙ্গত, ২০১৬ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে সিংহাসনে বসেন ট্রাম্প। তবে ৪ বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে ক্ষমতা হারান ট্রাম্প।