বেজিং, ১০ ডিসেম্বর: চিন (China) দেশে হনুমানের কোষ থেকে জন্ম নিল শূকর ছানা (Two pigs with monkey cells)। চিনা প্রাণী বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারেই তৈরি করে ফেললেন সাইনোমলগাস কোষ। সেই থেকেই জন্ম নিল দুটি শূকর ছানা। যাদের নতুন নাম করণ হল চিমেরা শূকর হনুমান। এই প্রাণীটির জন্মের নেপথ্যে রয়েছে শূকর ও হনুমানের কোষ। সঙ্গে জুড়েছে বিজ্ঞানীদের হাতযশ, আর তাতেই জন্ম নিল চিমেরা শূকর হনুমান। এই প্রাণী পৃথিবীর আলো দেখার পর মাত্র এক সপ্তাহ বেঁচে ছিল। বেজিংয়ের স্টেট কি গবেষণাগারে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে হনুমানের স্টেম সেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী ট্যাং হাই (Tang Hai)। তিনিই বলেন, এই প্রথম পরিপূর্ণভাবে চিমেরা শূকর হনুমানের জন্ম হল।
চলতি বছরের শুরুতেই এক জাপানি বিজ্ঞানী ইঁদুরের শরীরে মানুষের প্যানক্রিয়াস তৈরিতে সক্ষম হন। দুটি ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কোষ নিয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করে তা থেকে নতুন কোনও প্রাণীর জন্ম হওয়া এই একবিংশ শতকের প্রাণী বিজ্ঞাণ গবেষণায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই ইঁদুরের শরীরে মানব প্যানক্রিয়াস তৈরির অন্যতম লক্ষ্যই হল যাতে মানব শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ অন্যো কোনও মনুষ্যেতর প্রাণীর শরীরে তৈরি করা যায় কি না তা পরীক্ষা করে দেখা। এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সফলতা এলে তা মানব বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই যে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে অন্য প্রাণীর শরীরে তৈরি মানব অঙ্গ ওই ব্যক্তির শরীরে সেট করলে তিনি আবার নতুনভাবে জীবন ফিরে পাবেন। আরও পড়ুন-Finland’s Would Be Prime Minister Sanna Marin: বিশ্বের নবীনতম প্রধানমন্ত্রী ইনি, চেনেন নাকি?
উল্লেখ্য, সবমিলিয়ে মোট চার হাজার মহিলা শূকরের ভ্রূণ কাজে লাগানো হয়। এথে দশটি পিগলেট জন্ম নেয়। এবং তাদের মধ্যে দুটি চিমেরিকও ছিল, যাদের শরীরে একই সঙ্গে হনুমানের কোষও বর্তমান। এককথায় চিমেরাসে, হার্ট, লিভার, প্লীহা, ফুসফুস এবং ত্বকের টিস্যুতে আংশিকভাবে হনুমানের কোষ ছিল। যদিও তা অনুপাত কম, এক হাজারের মধ্যে একটিতে এবং দশ হাজারে এর মধ্যেও একটিতেই ছিল সেই কোষের উপস্থিতি।