২৬-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিধানসভায় হয়ে গেল রাজ্যের বাজেট পেশ। আর এবারের বাজেটে সরকারী কর্মীদের কথা ভেবে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পথশ্রী প্রকল্প, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান সহ একাধিক খাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। তবে যে প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ধরে রেখেছে মমতার (CM Mamata Banerjee) সরকার, সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার টাকা বাড়ল না। অর্থাৎ আগে থেকে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ছিল, সেই অনুযায়ী এই বছরেও একই টাকা পাবেন ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা। এছাড়া উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, জঙ্গলমহলের জন্য কোনও নতুন পরিকল্পনা করা হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা দেবে রাজ্য
এদিন বাজেট পেশে মূলত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকেই বেশি জোড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) বাজেট পেশে উল্লেখ হয়েছে রাজ্য সরকারের কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি। যা কার্যকর হবে আগামী এপ্রিল মাস থেকে। এছাড়া নারী ও শিশু কল্যাণ খাতে বরাদ্দ হয়েছে অর্থ। আশাকর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। এই বছরে ৭০ হাজার আশাকর্মীকে দেওয়া হবে স্মার্টফোন। এছাড়া ভাঙন রুখতে নদী বন্ধন প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে ২০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। গঙ্গাসাগরে সেতু নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য মোট ১৫০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। যার মধ্যে এই বছর দেওয়া হবে ৫০০ কোটি টাকা।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ রাজ্য সরকারের
শিক্ষাক্ষেত্রেও বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতরে ৪১, ১৫৩, ৭৯ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ৬, ৫৯৩,৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য ৯৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে ১৬ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে রাজ্য সরকার। পথশ্রী প্রকল্পের জন্য আগামী অর্থবর্ষে আরও ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য হিসেবের খতিয়ান দিয়েছে রাজ্য। এছাড়া এই বছরে সরকারের লক্ষ্য ছিল কর্ম সংস্থান। যার জন্য রাজ্যের সিলিকন ভ্যালি অর্থাৎ নিউটাউনে আরও ৭৫ হাজার কর্ম সংস্থানের হবে বলে জানা গিয়েছে এবং লেদার কমপ্লেক্সে লক্ষ লক্ষ কর্ম সংস্থান হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভায় বিরোধীদের বিক্ষোভ
শেষে মুখ্যমন্ত্রী একটি কবিতা শুনিয়ে বাজেট ভাষণ শেষ করেন। এর মাঝে বিরোধীরা বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। চাকরি চাই বলে চিৎকার শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বাইরে বলেন, এটা বেকার বিরোধী বাজেট। রাজ্যের ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।