কিউই ভিটামিন সি এর একটি পাওয়ার হাউস। এই ছোট, সুস্বাদু ফলটি পুষ্টিতে ভরপুর, প্রতিদিন এটি খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয়। কিউই ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ফোলেট, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়ায়, যা সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি খেলে ঠান্ডা লাগা এবং জ্বরের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এবং অন্ত্রের কার্যক্রমকে আরও ভালোভাবে কার্যকর করতে সাহায্য করে। কিউইতে উপস্থিত অ্যাক্টিনিডিন এনজাইম প্রোটিন হজমে সাহায্য করে, যা পেটের সমস্যা কমায়।
কিউইতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকে, যা হৃদরোগের জন্য উপকারী। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও, কিউইতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়ক। কিউইতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই উপাদানগুলি ত্বকের উন্নতি, বলিরেখা কমাতে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিউই খাওয়া ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে দেয়। কিউইতে সেরোটোনিন পাওয়া যায়, যা ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন একটি কিউই খেলে ভালো ঘুম হয় এবং অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
কিউইতে লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের জন্য উপকারী। এই উপাদানগুলি চোখকে ছানি এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিউইতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে, এর ফলে পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা থাকে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। কিউইতে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো ফল। কিউইতে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে। কিউইতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মেজাজ ভালো রাখে।