কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর: করোনাকালে শীতের আগমন দেরিতে হলেওবড়দিনের আগেভাগে বঙ্গবাসীকে কাঁপিয়ে ছাড়ছে ঠান্ডা। সোমবার মরশুমের শীতলতম দিন কেটেছে। একই দিনে পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে সোমবারই শৈত্যপ্রবাহ (cold wave) শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার একইভাবে পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। বে রবিবারের তুনা সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পারদ ওঠানামা করেছে। যেমন, পানাগড়ের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে পাঁচ ডিগ্রি থেকে সাত ডিগ্রি হয়েছে। ১০.৮ ডিগ্রি থেকে দমদমের তাপমাত্রা পৌঁছেছে ১১.৫ ডিগ্রিতে। বারোর উপরে উঠেছে সল্টলেকের তাপমাত্রা। আবার কমেছেও বেশ কিছু জায়গায়। আলিপুরে পারদ ছিল ১২.৫ ডিগ্রিতে, এক ডিগ্রি কমে পারদ পৌঁছেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে।
বড়দিনে আগেভাগে এই কনকনানি শীত রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে না। এনিয়ে আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদরা। সোমবার ছিল মরশুমের শীতলতম দিন, তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত বছর ২০ ডিসেম্বর কলকাতার পারদ ১১.৬ ডিগ্রিতে নামে। ১০ বছরের মধ্যে এত তাড়াতাড়ি এমন শীত, তার আগে দেখা যায়নি। এ বার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। মৌসম ভবন জানিয়েছে, পর পর দু'টি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে ঢুকছে। তার প্রভাবে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। তবে দু'টি ঝঞ্ঝাই দুর্বল। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করবে। বড়দিনে এর খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ২০ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ১.৭৫ কোটি
অন্যদিকে উত্তর পশ্চিমভারতে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। ক্রিসমাস ইভে ঠান্ডায় কাতর দিল্লি, মহারাষ্ট্র। এরমধ্যে বিলেতে করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মেলায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সঙ্গে এমন ঠান্ডা বাড়িতে থাকার সুযোগটা অন্তত কেউ মিস করবেন না।