Coronavirus In West Bengal: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন ১২ জন; নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Photo: ANI)

কলকাতা, ৩ এপ্রিল: রাজ্যে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তর সংখ্যা ৩৮ জন। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। তাঁরা বাড়ি ফিরে যাবেন। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তিন জন সুস্থ হয়েছেন, শুক্রবার আরও ৯ জন বেরোবেন। মোট ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি জানান, রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্ত ৩৮। ৪ জন আক্রান্ত বেড়েছে। ৩২১৮ মানুষ হোম কোয়ারান্টিন থেকে বেরিয়েছেন। এখনও রাজ্যে হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন ৫২ হাজার জন। এছাড়া ৫ হাজার ১১০ জন সরকারি কোয়ারান্টিনে ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২১৮ জন বেরিয়েছেন। এখনও ১ হাজার ৮৯২ জন সরকারি কোয়ারান্টিনে রয়েছেন। রাজ্যে ২০৬টি কোয়ারান্টিন সেন্টার রয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা বন্ধ করুন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়।" পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছ থেকে পুরোপুরি সাহায্য মিলছে না বলে ক্ষোভ উগরে দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কাজ করার চেষ্টা করছে। কাজ করতে গেলে কিছু ভুলভ্রান্তি হয়। যারা কাজ করে তাদেরই ভুল হয়। জল তুলতে গেলে এক মগ জল পড়ে যেতেই পারে, তা নিয়ে দোষ ধরলে চলবে না।" মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য রেশন পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। গোটা রাজ্য ক্ষতির মুখে, তারপরও রাজ্য আগামী ২ মাসের পেনশন দিচ্ছে, বেতন ঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সাংবাদিক বৈঠক কলকাতা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। কলকাতা পুলিশ প্রত্যেকদিন ৫০ ইউনিট রক্ত দিচ্ছে বলে তিনি জানান। আরও পড়ুন: Adhir Ranjan Chowdhury On Narendra Modi: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে লাইট নেভানো এবং মোমবাতি জ্বলানোর কোনও সম্পর্ক নেই: অধীর চৌধুরি

তিনি বলেন, "বাংলার পুলিশের এই ভূমিকা মডেল।" মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সময় না দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সব স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। কিছু ক্ষেত্রে সময় লাগতেই পারে।

সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যবাসীদের আরও মানবিক হওয়ার আবেদন জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এলাকায় করোনা হাসপাতাল তৈরিতে বাধা দেবেন না। করোনায় মৃতদের সত্কার করতে আপত্তি হয়।" সাগরদত্ত হাসপাতালে কেন করোনা রোগীদের চিকিত্সা হবে না, তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "সরকার ঠিক করবে কোন কোন হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্সা হবে। বাধা দিলে মহামারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এমআর বাঙুর হাাসপাতালে করোনার চিকিত্সা হচ্ছে বলে জানান তিনি।