কলকাতা, ১ জানুয়ারি: সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। নতুন বছর পড়তেই সবার নজরে লোকসভা নির্বাচন। আগামী পাঁচ বছর দেশের রাশ কার হাতে থাকবে কে তা ঠিক হয়ে যাবে এই বছরেই। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জমকালো উদ্বোধন দিয়ে বিজেপি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির মধ্যে এখনো মেলবন্ধন সেভাবে চোখে পড়ছে না। এখনো বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া শিবিরের দলগুলো একসঙ্গে রাস্তায় নামতে পারেনি।
পশ্চিমবঙ্গে জোট গড়ার জন্য কংগ্রেসকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু বঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে এখনো তেমন কোন কিছুই এগোইনি দুই দল। এবার ইন্ডিয়া যুদ্ধের আসন সমঝোতা নিয়ে নয়া ফর্মুলা আনলেন তৃণমূলের অভিজ্ঞ সংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর কলকাতার দাপুটে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বললেন, যত দ্রুত আসনসমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত করা যায় ততই ভালো। দেশের ৪০০টি লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের দল গুলোর মধ্যে আসন সমঝোতা হওয়া উচিত। ৪০০ টি আসনে বিজেপির সঙ্গে একই বিরুদ্ধে এক লড়া গেলে পদ্ম শিবিরের আসন কমা নিশ্চিত হবে। সুদীপের এই কথায় পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা না হওয়ার ইঙ্গিত কিনা তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতে মোট ৫৪৩ টি লোকসভা আসনে নির্বাচন হবে। সেখানে সুদীপ বললেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ৪০০ টি আসনে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার। তারমানে অন্তত ১৪৩ টি আসনে ইন্ডিয়া জুটের দলগুলির মধ্যে লড়াই হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তৃণমূল সংসদ। সুদীপের ফর্মুলায় জোট না হওয়া সেই ১৪৩ টি আসনের মধ্যে বাংলার ৪২ টি আছে কিনা।
প্রসঙ্গত, লোকসভায় ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতায় সবচেয়ে বড় কাঁটা হলো দিল্লি, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ কেরালার মত রাজ্যগুলি। কারণ অবিজেপি শাসিত এই সমস্ত রাজ্যে আসুন সমঝোতা হলে বিরোধী ভোট সব বিজেপির পক্ষে গিয়ে আদপে মোদী শিবিরকেই বড় সাহায্য করবে।