
পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ডেকে এক বিবাহিত মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর ধর্ষণের বিচার চেয়ে পুলিশের দারস্ত স্বামী। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ধর্ষণের ঘটনার জেরে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সমর্থকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূলের (TMC) মধ্যে তীব্র সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপি সমর্থক। আর সেই কারণেই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী শীট তাঁদের নিশানা করেন। রবিবার সকালে তাঁর স্ত্রীকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। দলীয় কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে তাঁর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন লক্ষ্মী এবং তাঁর দুই প্রবীণ সহযোগী। নির্যাতিতা মহিলা বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্ত্রীর নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী। কিন্তু নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত লক্ষ্মী শীট। পালটা এফআইআর দায়ের করে তিনি দাবি করেন, বিজেপি তাঁকে হেনস্থা করছে এবং ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাঁর রাজনৈতিক সম্মানহানির চেষ্টা করছে। অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, মহিলাদের প্রতি অসম্মান সহ্য করবে না দল। তিনি আরও বলেম, যদি কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় যে মহিলা যা অভিযোগ করেছেন তা সত্য, তাহলে তৃণমূল লক্ষ্মী শিটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।