টালা ব্রিজ (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ৩১ ডিসেম্বর: জানুয়ারি (January) মাস পরলেই জীর্ণ টালা সেতু (Tallah Bridge) ভেঙে নতুন সেতু গড়ার কাজ শুরু হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। কথা মত সেই কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। আগামী ৩ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই টালা ব্রিজে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যান চলাচল। তারপর থেকেই শুরু করা হবে প্রাচীন এই ব্রিজ ভাঙার কাজ।

শুধু তাই নয়, যতদিন না নতুন টালা ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, ততদিন ওই অঞ্চলে ছোটছোট রুটে অটো (Auto Route) চালানো হবে। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে কলকাতার (Kolkata) দিকে আসতে আর এখন নিবেদিতা সেতু ধরতে দেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে পণ্যবাহী লরি দ্বিতীয় হুগলি সেতু অথবা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় পরীক্ষার পর শেষ পর্যন্ত টালা ব্রিজ ভাঙার পক্ষেই রায় দিয়েছিল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সংস্থা। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন সেতু গড়ার কাজ শুরু করতে হবে। এমনকী এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে নতুন ব্রিজের কাজ। 'পাবলিক ভেইকেল ডিপার্টমেন্টের' তরফে জানানো হয়েছে, ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে টালা ব্রিজ বন্ধের কারণে পরিবর্তিত করা হয়েছে বাস চলাচলের রুট। ৪ জানুয়ারি সকাল থেকে ব্রিজ বা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ৪২টি বাসরুট এবার নতুন পরিবর্তিত পথে চলবে। জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত বাস বি টি রোড থেকে চিড়িয়ামোড় হয়ে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক- নর্দার্ন এভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি হয়ে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে শ্যামবাজারের রাস্তা ধরবে। এই সময়ের খবর অনুযায়ী,  আবার কলকাতা থেকে ব্যারাকপুরমুখী বাস শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লক গেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার চিড়িয়া মোড় হয়ে বি টি রোডে এসে উঠবে। আরও পড়ুন: Tala Bridge Update: জানুয়ারিতে ভাঙছে টালা ব্রিজ, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু নতুন সেতুর কাজ

গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে টালা ব্রিজ দিয়ে বাস-লরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শহরতলির বাসের যাত্রাপথ (Bus Route) ঘুরিয়ে শ্যামবাজারে (Shyambazar) পৌঁছনোর জন্য বেলগাছিয়া সেতু ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে ওই সেতুর উপর চাপ বেড়েছে। সম্প্রতি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে। পাশাপাশি লক গেট ব্রিজেও ভার বাড়ানোয় পক্ষপাতী নয় কেমডিএ। এই পরিস্থিতি কতদিন দুর্ভোগ অপেক্ষা করে আছে উত্তর শহরতলির মানুষদের জন্য, তা নিয়ে চিন্তায় অনেকেই।