তথাগত রায়(Photo Credit: IANS)

কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি: গতকাল ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মদিন। যা নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। শনিবার সকালে নেতাজির বাসভবনে (Netaji Bhavan) অনুষ্ঠানে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Narendra Modi) নেতাজি ভবনে যান৷ তিনি ঘুরে দেখেন নেতাজির থাকার ঘর ও মিউজিয়ামে রাখা অন্য জিনিসপত্র। সুগত বসু ও সুমন্ত বসু প্রধানমন্ত্রীকে নতাজির বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। জানা যায়, নেতাজির পরিবারের সদস্য তথা নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারম্যান সুগত বসুর কাছে ফোন আসে, যে প্রধানমন্ত্রী এখানে আসতে চান, সঙ্গে আসতে চান কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও। কিন্তু নামের তালিকা দেখে বেঁকে বসেন তাঁরা। তাঁদের মতে, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আসতে পারেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি আসতে পারেন না। এরপর প্রধানমন্ত্রী আসলে তিনি একাই বাড়িতে যান। বসু পরিবারের আপত্তিতে নেতাজি ভবনের বাইরেই থাকেন বিজেপি নেতারা।

সুগত বসু বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী যেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আসেন। এখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মানের প্রশ্ন জড়িত। সে কথাটা অন্তত নেতাজি ভবনের ভিতরে রেখেছেন। আমরা সে ব্যবস্থা বজায় রাখতে পেরেছিলাম।। মর্যাদার সঙ্গেই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে নেতাজি ভবন ঘুরিয়ে দেখাতে পেরেছি। আমরা গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার ছোট ভাই সুমন্ত্র বসু, যে এখন নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর ডিরেক্টর আর আমি তাঁকে অভ্যর্থনা জানাই। আমরা দু’জনই তাঁকে নেতাজি ভবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। সুমন্ত্রর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপ করিয়ে দিলাম। এসপিজি-র আপত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ভিজিটর্স বুকে কিছু লেখার সুযোগ পাননি। আরও পড়ুন: Netaji Subhas Chandra Bose Jayanti 2021 Live: 'নেতাজির চরণে মাথা নত করছি', ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বক্তৃতায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বিজেপি নেতাদের নেতাজি ভবনে ঢুকতে না দেওয়াতে আজ সুগত বসুর সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy)। টুইটে তিনি লেখেন, "সুগত বসু যেন মনে রাখেন যে তিনি কেবল নেতাজির বড় ভাইয়ের নাতি এবং আমাদের মহান নেতার ওপর তাঁর মালিকানাধীন কোন অধিকার নেই যার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাজি ভবনে কে যেতে পারবেন বা পারবেন না সে সম্পর্কে ফতোয়া জারি করতে পারে। নেতাজি আমাদের সকলের, সম্ভবত কমিউনিস্টদের বাদে। এই সিদ্ধান্তে কেবল বসু পরিবারই বিভক্ত। প্রধানমন্ত্রী যাকে খুশি তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেদ না দেওয়ার মধ্যে ভদ্রতা ছিল। সর্বোপরি তিনি নরেন্দ্র মোদি এবং সুগতা বোস কিছুই না... কিছু মনে করবেন না।"

এরপরই তথাগতবাবুর দাবি, নেতাজির ক্ষেত্রে সুগত বসুর চেয়ে অনিতা বসু পাফের বেশি অধিকার রয়েছে। তবে তিনি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। তবে তিনি একজন জার্মান নাগরিক এবং তিনি সারা জীবন ভারত থেকে দূরে জীবনযাপন করেছেন। তিনি ধর্মীয় ভিত্তিতে দেশভাগের প্রভাবগুলি বুঝতে পারেননি যা নেতাজিও কখনও ভাবেননি।