ওড়িশা ও বাংলায় ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে (Cyclone Dana)। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে দুই রাজ্যে। বাংলার দুই মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ভালোই পড়েছে। গতকাল রাত থেকে বাংলার পরিস্থিতি ওপর নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শুক্রবার সকালেও নবান্নে রয়েছেন তিনি। আজ সকালে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন তিনি। পাশাপাশি জেলা আধিকারিকদের কাছ থেকেও ঘন্টায় ঘন্টায় পরিস্থিতির আপডেট নেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কিছু জেলায় ডানার প্রভাবে বেশ ভালোই প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে যে এলাকায় কাঁচা বাড়ি রয়েছে সেগুলি ভেঙে গিয়েছে। প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। তাঁদের সঙ্গে প্রতি ঘন্টায় যোগাযোগ করে আপডেট নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২.১৬ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষিতভাবে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দুর্যোগে কপিল মুনির আশ্রম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভালোই জল জমেছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, এই দুর্যোগের জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের জন্য নির্দেশও দিয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যাতে ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছে যায়, সেদিকে নজর দিতে বলেন তিনি।