কলকাতা, ১৪ অগাস্ট: আরজিকর হাসপাতালে (R.G. Kar Hospital) চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের (Kolkata Doctor Death) ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। আরজিকরে ট্রেনি চিকিৎসকের খুনের পর যখন সেই হাসপাতালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রবল অভিযোগ উঠতে শুরু করে, সেই সময় কেন তাঁকে কলকাতা ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। যার জেরে মঙ্গলবার আরজিকরের ঘটনায় যেমন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়, তেমনি অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও ১৫ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এসবের পাশাপাশি ৯ অগাস্টের ঘটনার পর মৃত চিকিৎসকের বাড়়িতে ফোন করে কেন আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানানো হল, তা নিয়ে কলকাতার পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন একাধিক মানুষ। পাশাপাশি কেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ সৎকার করা হল, তা নিয়েও তোলা হয় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: R.G. Kar Hospital: 'বিচার চাই', আরজিকরের ঘটনায় রাজপথে প্রতিবাদে মুখর চিকিৎসকরা
দেখুন কলকাতা পুলিশের ট্যুইট...
Since points 1 & 2 concern Kolkata Police, we wish to clarify:
1. Reports of KP informing the family about a possible suicide are false. The family confirmed the call did not come from KP
2. KP didn’t cremate the body of deceased. It was her family who cremated her. https://t.co/ktoVv8scjZ
— Kolkata Police (@KolkataPolice) August 14, 2024
আরজিকরের ঘটনায় যখন কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, সেই সময় উত্তর দেওয়া হল স্পষ্টভাবেই। বুধবার কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, তাঁরা নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে তাঁদের কন্যা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানাননি। মৃত চিকিৎসকের পরিবারের তরফে এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কাছ থেকে আরজিকরে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে কোনও ফোন যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে মৃত্যুর পর ওই চিকিৎসকের দেহ কলকাতা পুলিশের তরফে সৎকার করা হয়নি। মৃত চিকিৎসকের পরিবারই তাঁদের কন্যার সৎকার করেছেন বলে জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে।