কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: কৃষি বিলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকেরা। দিল্লির হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় তাদের এই লড়াইয়ে স্তম্ভিত গোটা দেশ। এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রথম থেকেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই বিরোধী দলের তালিকাতে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিও। মাঝে মধ্যেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে কৃষকদের সাহস যোগাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার মমতার নির্দেশে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে পৌঁছে যায় পাঁচ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, যিনি এর আগেও ঘটনাস্থলে এসে কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন। ডেরেক ছাড়াও এদিনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল এবং মহম্মদ নাদিমুল হক।
প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন সকলেই। কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা ব্যানার্জি। কঠিন পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের তিন কৃষিবিরোধী আইনের বিপক্ষে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সেই কথাও এদিন আরও একবার স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন মমতা। পঞ্জাবের এক কৃষকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্জাবের ওই কৃষক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
"Please come & join our dharna it will give us more strength" said a farmer on the phone to @MamataOfficial. A 5 member delegation of @AITCofficial MPs visited Singhu border again to express solidarity with protesting farmers. Bengal CM spoke to multiple groups #KisanDiwas
VIDEO pic.twitter.com/p4Kv7q2tAF
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) December 23, 2020
ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সেবারও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। এরপর বারবারই কৃষকদের পক্ষে সরব হয়েছেন মমতা। এছাড়া এই প্রথম নয়। কৃষকদের জন্য মমতা ব্যানার্জি ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। রাজনীতির ইতিহাসে যা ঐতিহাসিক ঘটনা।