মমতা গো-ব্যাক পোস্টার। Photo Source: Twitter

নন্দীগ্রাম, ১৮ জানুয়ারি: শুভেন্দুর (Suvendu Adhikary) গড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) সভা ঘিরে উত্তেজনার পারদ এদিন সকাল থেকেই চরছিল। নন্দীগ্রামের তেখালিতে (Tekhali) মমতা ব্যানার্জির সভার প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে। ঠিক তখনই মমতা ব্যানার্জির গো-ব্যাক পোস্টার ঘিরে সরগরম হয়ে উঠল তেখালি। মমতা ব্যানার্জির জনসভার এলাকায় রাস্তায় দেখা মিলল এই বিতর্কিত পোস্টারের। ছবি পোস্ট করে টুইট করেছেন রাজ্যের বিজেপি সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালভিয়া (Amit Malviya)। তিনি লিখেছেন, "নন্দীগ্রামে (Nandigram) সভার আগেই গো-ব্যাক পোস্টার পরেছে। ২০০৭ সালে জমি আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৪ জন কৃষকের। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা, কিন্তু তা আজও অধরা রয়ে গেছে।"

মমতা ব্যানার্জিকে ঘিরে তেখালির রাস্তায় লাগানো গো-ব্যাক পোস্টার ঘিরে গেরুয়া শিবিরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির জন্য এমন পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে রাজ্যের শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। কারওর কারওর দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরাই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

আজ নন্দীগ্রামে (Nandigram) মমতা ব্যানার্জি সভা করেন। নন্দীগ্রাম জনসভায় ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু। তাঁদের আমন্ত্রণও জানায়নি তৃণমূল। ২০০৭ সাল থেকে এক যোগে সভা করেছন অধিকারী পরিবার এবং মমতা ব্যানার্জি। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্কের ভাঙনের শুরু ১৯ ডিসেম্বর। শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যে বিজেপিতে। খাতায়-কলমে এখনও নাম রয়েছে শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর, তবে দলের কোনও পদে নেই এই দুই তৃণমূল নেতা। এদিকে নন্দীগ্রামের সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি বলেন, "নন্দীগ্রাম আমার জন্য লাকি জায়গা। আজ নন্দীগ্রাম থেকে আমি ঘোষণা করছি, ২০২১-এ তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল জেতার পালা। প্রতি সিটেই তৃণমূল জয়লাভ করবে। এখনই নাম বলছি না, নন্দীগ্রাম সিটে ভালো মানুষ দেব। যারা আপনাদের কাছে থেকে কাজ করবে। তবে আমার ইচ্ছে নন্দীগ্রাম থেকে লড়ার।"